চরম আর্থিক অভাবের সঙ্গে লড়াই করে বিহার স্কুল বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করল সবজি বিক্রেতার ছেলে হিমাংশু রাজ। ভবিষ্যতে বি টেক পড়তে আগ্রহী এই কিশোর।
বোর্ড পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরে আহ্লাদে আটখানা হিমাংশু জানিয়েছে, ‘প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে থাকব আশা করেছিলাম, তবে একেবারে প্রথম স্থান পাব বলে ভাবিনি। মনে হচ্ছে যেন বি্বজয় করে ফেলেছি।’
হিমাংশুর বাবা সুভাষ সিং পেশায় সবজির কারবারি, মা গৃহবধূ। মেধাবী ছাত্র জানিয়েছে, ‘পরীক্ষার জন্য তৈরি হতে দিনে ১০ ঘণ্টা প়ড়াশোনা করতাম। মা-বাব ও ভাইবোনেরা সব সময় আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। নিজেরা কষ্ট স্বীকার করে সব সময় আমার পড়াশোনায় যেন বিঘ্ন না ঘটে, সে খেয়ালই তাঁরা রেখেছেন। চেষ্টা করব কোনও ভালো কলেজে যাতে বি টেক পড়ার সুযোগ পাই।’
BSEB দশম শ্রেণির পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে সমস্তিপুরের জিৎওয়ারপুরের এস কে হাইস্কুলের ছাত্র দুর্গেশ কুমার। কৃষক পরিবারের সন্তান দুর্গেশ এ বছর বোর্ড পরীক্ষায় ৯৬% নম্বর পেয়েছে। চার ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠতম দুর্গেশের সাফল্যে গর্বিত তার বাবা-মা। দুর্গেশের দাবি, পরীক্ষায় ৮০% নম্বর পাবে বলে সে নিশ্চিত ছিল, কিন্তু দ্বিতীয় স্থান অর্জন করার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি। এবার আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দুর্গেশ। তার ইচ্ছা ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়র হওয়ার।
দুর্গেশের বাবা জয় কিশোর সিং বলেছেন, ‘একজন সেলিব্রিটির চেয়ে নিজেকে কোনও অংশে কম মনে হচ্ছে না। ছেলে আমার মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
এ বছর দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে জুলি কুমারী। পরীক্ষায় সে ৯৫.৬০% নম্বর পেয়েছে। শুভম কুমার ও রাজবীরের সঙ্গে যুগ্ম তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে জুলি। পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য নিজের বাবা-মায়ের নিরলস সমর্থন ও অনুপ্রেরণার প্রতি কৃতজ্ঞ কিশোরী জানিয়েছে, উচ্চ শিক্ষার জন্য সে পটনা যেতে চায়। রাজধানী থেকেই সে ইন্টারমিডিয়েট ও স্নাতক পাঠ সম্পূর্ণ করতে ইচ্ছুক।
জুলি আদতে আরওয়াল জেলার মেয়ে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে সে পড়াশোনা করতে চায়। পেশা হিসেবে ভবিষ্যতে বেছে নিতে চায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং।