শিক্ষক নিয়োগে এবার সুখবর। একবার টেট উত্তীর্ণ হলে আর টেট দিতে হবে না। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের (এনসিটিই) ৫০ তম সাধারণ সভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কয়েক বছর আগে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম বদল করেছিল কেন্দ্র। ঠিক হয়েছিল, শিক্ষক হতে গেলে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবেই শিক্ষক হওয়ার ছাড়পত্র পাবেন পরীক্ষার্থীরা। আগে একবার টেট উত্তীর্ণ হলে সাত বছরের মধ্যে চাকরি না পেলে তাহলে আবার টেট দিতে হত। এই নিয়ম কার্যকর করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। এবার ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন সেই নিয়ম বদল করে জানিয়ে দিল সাত বছর নয়, কোনও প্রার্থী একবার টেট উত্তীর্ণ হলেই তাঁকে আর টেট দিতে হবে না।
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বা সিবিএসই বোর্ডের টেটের ক্ষেত্রেই নয়, বিভিন্ন রাজ্য যে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট পরীক্ষা নিচ্ছে, সেখানেও এই নিয়ম কার্যকরী করতে হবে। যদিও কেন্দ্রের এই পরিকল্পনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
নতুন নিয়মে টেট উত্তীর্ণদের সারা জীবন বৈধতা সার্টিফিকেট দেওয়ার ফলে শিক্ষক নিয়োগের চাকরির সুযোগ অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি। গত বছর পুজোর আগে উচ্চ প্রাথমিকের প্রভিশনাল মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও গরমিল এবং অস্বচ্ছতার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। তারপর মেধাতালিকার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। স্থগিতাদেশের উপর মামলার শুনানি শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) সূত্রে খবর। পুজোর পরেই সেই মামলার রায়দান হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যের টেট এবং সিবিএসই বোর্ড পরিচালিত CTET পরীক্ষায যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের সার্টিফিকেটের মেয়াদ সারা জীবন থাকবে কি না, সেই বিষয়ে আইনমাফিক আলোচনা করা হবে। তবে এ রাজ্যে এখনই টেট বা টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। প্রাথমিকের টেট হওয়ার একটা অবশ্য সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা সেই পরীক্ষা নয়া নিয়মে হবে কিনা, সে বিষয়ে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের সরকারি বিজ্ঞপ্তির পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।