ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক ভারত এবং পাকিস্তানের পেসারদের দক্ষতার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। দাবি করেছেন যে, দুই দেশের পেসাররা দক্ষতার দিক থেকে সমান ভাবে মিলে গেলেও, পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, হরিস রউফ এবং নাসিম শাহ- এই ত্রয়ী ফ্ল্যাট পিচে দুর্দান্ত গতি এবং বৈচিত্র্যের কারণে বাড়তি সুবিধে পেয়ে থাকেন।
পাল্লেকেলেতে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক এশিয়া কাপের লড়াইয়ে তিন পাকিস্তানি স্পিডস্টার মিলে ভারতের ১০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তবে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে আর খেলাই হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে একটি বলও খেলা হয়নি। ম্যাচ বাতিল হয়ে, পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে যায়।
কার্তিক পাকিস্তানি ত্রয়ীর শক্তি বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি পিচ থেকে তাঁরা যে বাউন্স নিয়েছিল এবং তাঁদের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলিই বা কী ছিল, তার উপরও জোর দিয়েছেন কার্তিক।
ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্তিক বলেছেন, ‘শাহিন, হরিস রউফ এবং নাসিম ধারাবাহিক ভাবে ৯০-প্লাস বোলিং করতে পারে এবং তিন জনেই খুব আলাদা। শাহিন শাহ বাঁ-হাতি এবং ও অ্যাঙ্গল বলের পাশাপাশি ভিতরেও বল আনতে পারে। নাসিম শাহ বলকে উভয় দিকে সুইং করাতে পারে। আর হরিস এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। বল স্কিড করাতে পারে, নিখুঁত বাউন্সার রয়েছে হাতে।’ তিনি যোগ করেছেন, ‘ফ্ল্যাট উইকেটে পাকিস্কানের পেসাররা অনেক বেশি শক্তিশালী আক্রমণকরে থাকে। যদি পিচে কিছু থাকে, তাহলে দুই দলের(ভারত ও পাকিস্তান) পেসারদের আক্রমণ সমান হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: NCA-তে রাহুলের ফিটনেস টেস্ট ৪ সেপ্টেম্বর,তার পরেই সম্ভবত WC-এর দল ঘোষণা- রিপোর্ট
একজন ব্যাটার হিসেবে পাকিস্তানি বোলারদের থেকে ভারতীয় বোলারদের খেলতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন কার্তিক। তাঁর মতে, ‘ফ্ল্যাট উইকেটে কিন্তু পাকিস্তানের বোলাররা অনেক বেশি কার্যকর। যদি পিচের সাহায্য পাওয়া যায়, তা হলে ভারত-পাকিস্তান দুই টিমের পেসাররাই দারুণ পারফর্ম করবে। যদি আমাকে বলা হয়, কোন টিমের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে চাইব, আমি সাফ বলব, বুমরাহ-শামি-সিরাজদের বিরুদ্ধে খেলতে চাইব। তার কারণ, ভারতীয়দের থেকে বল বেশি বাউন্স করাতে পারে পাকিস্তানিরা।’
শনিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। সোমবার গ্রুপ লিগে নেপালের বিরুদ্ধে পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপের গ্রুপ লিগের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ খেলতে নেমেছে ভারত। এই ম্যাচ হারা চলবে না ভারতকে। বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেস্তে গিয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়, তবে ভারত সুপার ফোরে পৌঁছে যাবে। কারণ সেক্ষেত্রে ভারতের পয়েন্ট হবে কোনও ম্যাচ না খেলে ২। আর নেপাল এক ম্যাচ খেলে পয়েন্ট হবে ১।