শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে হারতে হয়েছে আফগানিস্তানকে। একেবারে শেষ পর্যন্ত লড়াই করলেও লাভ হয়নি। শেষ ওভারে নাটকীয় ভাবে হারতে হয়েছে আফগানদের। এর সঙ্গে সঙ্গে সুপার ফোরে যাওয়ার আশা তাদের শেষ হয়ে গিয়েছে রশিদ খানদের। গ্রুপ পর্ব থেকেই এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিতে হল আফগানিস্তানকে। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সবাই। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দুই রানে ম্যাচ হেরে যায় আফগানরা। এই ম্যাচ জিতলে যেমন শেষ চারে আশা তাদের কাছে ছিল ঠিকই। কিন্তু নির্দিষ্ট ওভারের মধ্যেই এই ম্যাচ শেষ করতে হতো তাদের।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যদি আফগানিস্তান শেষ ওভারে এই ম্যাচ জিতে যেত তাও তারা শেষ চারে পৌঁছাতে পারত না। সুপার ফোরে যাওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাদের তুলতে হতো ৩৭.১ ওভারে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি এই ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে পৌঁছে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
২৯৩ রানের টার্গেট থাকলে ৩৭.২ ওভারে ম্যাচ জিততে হত। ২৯৪ রান টার্গেট দিলে ৩৭.৩ ওভারে ম্যাচ জিততে হত আফগানদের। পাশাপাশি ২৯৫ রান টার্গেট থাকলে ৩৭.৪ ওভারে জিততে হত। এবং ২৯৬ রান টার্গেট থাকলে ৩৮ ওভারে এবং ২৯৭ রান থাকলে ৩৮.১ ওভারে ম্যাচ জিততে হত আফগানদের। আফগারা চেষ্টা করলেও, শেষ পর্যন্ত তা তারা করতে পারেনি।
শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি শেষ চারে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ উঠে গিয়েছে। আফগানিস্তানের লড়াই নিয়ে প্রশংসা করেছেন অনেকেই। সেই তালিকায় যুক্ত রয়েছে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারারও। তাদের কাছেই আফগানিস্তানের শেষ বল পর্যন্ত লড়াই প্রশংসা পেয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই তারা মনে এইরকম পরিস্থিতির জন্য টিম ম্যানেজমেন্টকে আরও ভালো ভূমিকা পালন করতে হবে। ক্রিকেটে তুলনামূলক কম শক্তিশালী দলগুলি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দলের কাছে এই জায়গাতেই পিছিয়ে পড়ে তা বিভিন্ন জানিয়েছে। আফগানিস্তানের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে বলে মনে করছেন সকলে।
এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই আফগানিস্তানের দলের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা শুধুমাত্র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য খেলছেন না। কাপ জেতাও তাদের লক্ষ্য থাকবে। কাপ আফগানরা জিততে না পারলেও সকলের প্রশংসা করিয়ে নিয়েছে। এখন দেখার বিষয় এটাই অক্টোবর থেকে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপে তারা কেমন পারফরম্যান্স করে।