বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও সিরিজেও হার অব্যাহত পাকিস্তানের। প্রথম দুটি টেস্টে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের পর, তৃতীয় টেস্টেও হারের দোরগোড়ায় শান মাসুদ ও তাঁর বাহিনী। তৃতীয় দিনের শেষে আরও খারাপ অবস্থায় পাক শিবির। অস্ট্রেলিয়ার জয় কার্যত নিশ্চিত বলা চলে। তবে এই সবকিছুর মাঝে ফের সমালোচনা ও ট্রোলের শিকার হলেন দলের তারকা ব্যাটার বাবর আজম।
চলতি সিরিজে একেবারেই ফর্মে নেই বাবর। এখনও পর্যন্ত ৬ ইনিংসে তাঁর মোট সংগ্রহ ১২৬ রান। এর জেরে তিনি ছাপিয়ে গেলেন ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার চেজ মাস্টার বিরাট কোহলির রানের খড়ার রেকর্ড। তবে শুধু এই অস্ট্রেলিয়া সফর নয়। এর আগের দুই টেস্ট সিরিজেও, ভালো ফল করতে সফল হননি বাবর আজম।
ক্রিকেটে বরাবরই একটি 'হাই ভোল্টেজ' ম্যাচের মধ্যে পড়ে ভারত বনাম পাকিস্তান। দুজনের ম্যাচ হওয়া মানেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বিরাট কোহলি বনাম বাবর আজম প্রসঙ্গ ছেয়ে যাওয়া। তবে অধিকাংশ সময়েই রান পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে টিম ইন্ডিয়ার তারকা ব্যাটারের একটি রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেন বাবর। গোটা সিরিজ জুড়ে তাঁর ব্যাটিং গড় ২১। তিনটি টেস্টে ৬টি ইনিংস মিলিয়ে তিনি করেছেন ১২৬ রান। এর সঙ্গে তিনি ছাপিয়ে গেলেন বিরাট কোহলির ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের খারাপ ফর্মের রেকর্ড। এই রেকর্ড প্রকাশ্যে আসতেই গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রোল ছড়িয়ে গেল বাবরকে নিয়ে। অনেকেই 'জিম্বাবর' বলে তাকে ট্রোল করতে থাকেন। তাদের মত বাবর একমাত্র অনভিজ্ঞ টিমগুলির বিরুদ্ধেই সেঞ্চুরি করতে পারেন। সব মিলিয়ে, এই মুহূর্তে বন্যা বইছে বাবরকে ঘিরে মিমের।
উল্লেখ্য, তৃতীয় দিনে দুই উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৯৯ রানে। সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন মার্নাস ল্যাবুশান। এছাড়া অর্ধশতরান আসে দলের তারকা অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৫৪। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে ছটি উইকেট নেন আমির জামাল। এছাড়া দুটি উইকেট নেন আগা সালমান এবং একটি করে উইকেট পান সাজিদ খান ও হামজা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৭ উইকেটে ৬৮। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে চারটি উইকেট নেন হেজেলউড এবং একটি করে উইকেট পান মিচেল স্টার্ক, নাথান লিয়ন ও ট্র্যাভিস হেড।