ম্যাক্সওয়েল বল ধরলেন না। আসলে বল ধরতেই চাননি তিনি। বরং চোটের হাত থেকে বাঁচতে চেয়েছিলেন অজি তারকা। তবে বল এসে ধরা দেয় ম্যাক্সওয়েলের হাতে। নিজের বলে ক্যাচ ধরে এমনই সৌভাগ্যবশত রোহিত শর্মার মূল্যবান উইকেট পেয়ে যান গ্লেন।
রাজকোটে ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করছিলেন রোহিত শর্মা। মাঝে একবার জীবনদান পেয়ে নিশ্চিত শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন ভারত অধিনায়ক। তবে এদিন ম্যাক্সওয়েলের ভাগ্য সম্ভবত রোহিতের থেকেও ভালো ছিল। তাই ব্যক্তিগত ৮১ রানের মাথায় আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় হিটম্যানকে।
জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ঝুলিয়ে দেওয়া বিরাট রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ভারত ইনিংসের শুরুটা করে দারুণভাবে। ইনিংসের সপ্তম ওভারেই দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায় ভারত। ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩১ বলে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন রোহিত শর্মা। ৯.৩ ওভারে ক্যামেরন গ্রিনের বলে ২ রান নিয়ে অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকে যান হিটম্যান। যদিও সেই বলে রোহিতের ক্যাচ মিস করেন মিচেল স্টার্ক।
তবে ২১তম ওভারে ভাগ্য সদয় হয়নি রোহিতের উপরে। ২০.৬ ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে তাঁর হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ভারত অধিনায়ক। রোহিতের সজোরে নেওয়া শট থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন গ্লেন। তবে বল এসে আটকে যায় ম্যাক্সওয়েলের হাতে। অজি তারকা বলের দিকে দেখেননি পর্যন্ত। সঙ্গত কারণেই এমন ক্যাচ ধরার পরে হতবাক দেখায় ম্যাক্সওয়েলকেও।
রোহিত ৫৭ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। ভারত দলগত ১৪৪ রানে ২ উইকেট হারায়। রোহিত ফেরার পরেই ভারতের রান তাড়া ধাক্কা খায়। শেষ পর্যন্ত যে ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫২ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ওয়ার্নার ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৫৬ রান করে আউট হন। মিচেল মার্শ ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে ৯৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্য ৬১ বলে ৭৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন স্টিভ স্মিথ। ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৮ বলে ৭২ রান করে মাঠ ছাড়েন মার্নাস ল্যাবুশান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৪৯.৪ ওভারে ২৮৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৬৬ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া। রোহিত ছাড়া ভারতের হয়ে হাফ-সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬১ বলে ৫৬ রান করেন।