Sarfaraz Khan Struggles: ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি রানের পাহাড় গড়েছেন। সেই কারণেই তাঁর জন্য ভারতীয় ক্রিকেটের দরজা খুলে গিয়েছিল। তবে এখনও টেস্টে অবিষেক করতে পারলেন না তিনি। তিনি হলেন ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের সুপারস্টার সরফরাজ খান। কে এল রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ার পর শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের দ্বিতীয় টেস্টের জন্য সরফরাজকে ডেকে ছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে তিনি এই ম্যাচে প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি। তাঁর বদলে এই টেস্টে সুযোগ পেয়েছেন রজত পতিদার।
তবে লড়াই করা ছাড়বেন না সরফরাজ খান। নিজের জীবনের লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন সরফরাজ। তিনি বলেন, ‘আমি বিরাট কোহলি, এবি ডি'ভিলিয়ার্স, স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস এবং জাভেদ মিয়াঁদাদকেও দেখতে পছন্দ করি, কারণ আমার বাবা আমাকে বলেছেন যে আমি নাকি তাদের মতো খেলি। আমি জো রুটের ব্যাটিংও দেখি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই সফল হচ্ছেন, আমি তাদের দেখছি, তারা কীভাবে এটি করছে সেটা আমি শিখছি এবং সেটাকে প্রয়োগ করে আমিও সফল হতে চাই। রঞ্জি ট্রফি হোক বা ভবিষ্যতে ভারতের হয়ে খেলা, আমি এই শেখাটা চালিয়ে যেতে চাই।’
বাবাকেই নিজের বাস্তব জীবনের নায়ক হিসাবে মনে করেন সরফরাজ খান। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন। তিনি আমার নায়ক। আমি সবসময় ভাবতাম যে আমি কেন খেলছি। আমি একজন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান এবং আমি অন্যদের থেকে তাড়াতাড়ি নামতাম এবং কঠিন পরিস্থিতিতেও বড় রান করতাম। আমি যখন রান করতে পারতাম না তখন অন্যদের সফল হতে দেখে খারাপ লাগত এবং আমি হতাশ হতাম। কিন্তু আমার বাবা সবসময় কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করতেন এবং আমার যা কিছু আছে তা সেই পরিশ্রমেরই ফল।’
এখনও পর্যন্ত ৪৫ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৬৯.৮৫ গড়ে ১৪টি সেঞ্চুরি এবং ১১টি অর্ধ-শতরান সহ ৩৯১২ রান করেছেন সরফরাজ খান। এমনকি লাল বলের ফর্ম্যাটেও, সরফরাজ ৭০.৪৮ এর স্ট্রাইকে রান করেছেন। তাহলে, সে কীভাবে এত ধারাবাহিকভাবে স্কোর করেও দলে সুযোগ পায় না? সরফরাজ রহস্যটি প্রকাশ করেছিলেন।
সরফরাজ খান জানান, ‘আমার শক্তি হল আমি সহজেই সন্তুষ্ট হই না। আমি প্রতিদিন ৫০০-৬০০ বল খেলি। যদি আমি একটি ম্যাচে অন্তত ২০০-৩০০ বল না খেলি, আমার মনে হয় আমি খুব বেশি কিছু করিনি। এটা আমার এখন একটা অভ্যাস হয়েগিয়েছে। আপনি যদি পাঁচ দিনের ক্রিকেট খেলতে চান, তাহলে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং প্রতিদিন অনুশীলন করতে হবে। আমি সারাদিন ক্রিকেট খেলি এবং সে কারণেই আমি দীর্ঘ সময় ধরে মাঠে থাকতে পারি।’