তরুণ উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান ধ্রুব জুরেলের উত্থান নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে বেশ আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এখন থেকেই তাঁর পারফরম্যান্সের তুলনা চলছে কিংবদন্তি এমএস ধোনির সঙ্গে।
সরফরাজ খান এবং আকাশ দীপও অভিষেকেই নজর কেড়েছেন। তবে ধ্রুব জুরেলকে নিয়ে চলছে সবচেয়ে বেশি আলোচনা। ভক্ত এবং ক্রিকেট কিংবদন্তিরা ধ্রুব জুরেলের প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ।
রাঁচিতে ভারত-ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্টে ম্যাচের উভয় ইনিংসে ব্যাট হাতে জুরেলের অসাধারণ অবদান স্থায়ী ছাপ রেখে গিয়েছে। চাপের মধ্যেও সংগঠিত ভাবে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করেছেন জুরেল। এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভারতকে অক্সিজেন দিয়েছেন। শুধু ব্যাট হাতেই নয়, উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়েও ধ্রুব জুরেল নজর কেড়েছেন।
ভারতের প্রাক্তন তারকা সুনীল গাভাসকর জুরেলকে নিয়ে একেবারে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘হয়তো খুব তাড়াতাড়ি বলা হয়ে যাচ্ছে, তবুও বলছি, আর এক জন এমএসডি তৈরি হচ্ছে। এমএসডিও যখন শুরু করেছিল, জুরেলের মতোই ছিল। আর জুরেলের খেলা নিয়ে সেই সচেতনতা আছে। ধোনির মতো স্ট্রিট স্মার্ট ক্রিকেটার। শুধু এই ম্যাচেই নয়, রাজকোটেও ওর কিপিং মুগ্ধ করেছে। কিচু থ্রো যে ভাবে বুদ্ধির সঙ্গে কালেক্ট করেছে, তা কোনও প্রশংসাই যথেষ্ঠ নয়। ব্যাটিংও কপি বুক স্টাইল নয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী আক্রমণ করছে।’
জুরেলের প্রতিভা নিয়ে ভারতের প্রাক্তন ভারতের অধিনায়ক এবং প্রাক্তন বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও উচ্ছ্বসিত। তবে এখনও ধোনির সঙ্গে জুরেলেক তুলনা টানতে রাজি নন তিনি। সৌরভকে RevSportz উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘ধ্রুব জুরেল… কঠিন পরিস্থিতিতে এবং কঠিন উইকেটে কী ভালোই না টেস্ট ম্যাচটি খেলল। ওর বিশাল প্রতিভা রয়েছে। তবে এমএস ধোনি এএকেবারে অন্য জাতের। জুরেলের প্রতিভা আছে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এমএস ধোনির এমএস ধোনি হতে ২০ বছর লেগেছে। কমপক্ষে ধোনি হতে ১৫ বছর তো লেগেইছে। তাই ওকে (জুরেল) খেলতে দিন। জুরেলের স্পিন, পেস এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে চাপের সময়ে খেলার ক্ষমতা প্রশংসনীয়। এটাই একজন তরুণের মধ্যে সকলে খোঁজে।’
রাঁচি টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় ১৭৭ রান বোর্ডে তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারত। সেখান থেকে কুলদীব যাদবের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের স্কোরকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যান ধ্রুব জুরেল। ৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন কুলদীপের সঙ্গে। শেষ উইকেটে আকাশ দীপের সঙ্গেও জুটি বাঁধেন তিনি। ৬টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন জুরেল। রাঁচি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও অপরাজিত ৩৯ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ধ্রুব জুরেল। হন ম্যাচের সেরাও।