রাঁচি টেস্টে তৃতীয় দিনের শেষে বেশ ভালো জায়গায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অল্প রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ১৪৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় গোটা দল। সৌজন্যে ভারতীয় স্পিনারদের দাপট। বিশেষ করে এদিন দলের তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বোলিং ছিল দেখার মতো। প্রাক্তন তারকা স্পিনার অনিল কুম্বলের ভারতের মাটিতে ৩৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ভাঙার পাশাপাশি নিলেন একটি ফাইফারও।
কিন্তু এদিন সকলের মন জয় করতে সফল হলেন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটার ধ্রুব জুড়েল। ব্যাট হাতে তিনি খেলেছেন ১৪৯ বলে ৯০ রানের একটি সাহসী ইনিংস, যার মধ্যে রয়েছে ৬টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারি। জুড়েলের এই ইনিংসের সুবাদে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে সফল হয় ভারত এবং প্রথম ইনিংস শেষে বোর্ডে তোলে একটি সম্মানজনক টোটাল। তবে শুধু ব্যাট হাতে নয়, উইকেটের পেছনেও একটি দারুণ কাজ করেছেন তিনি।
তখন চলছিল ৫৪তম ওভার। ইংল্যান্ডের স্কোর ৯ উইকেটে ১৪৫। বল ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে এবং স্ট্রাইকে ছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। অশ্বিনের স্পিনে রিভার্স সুইপ মারার চেষ্টা করেন জিমি, কিন্তু অবশেষে ক্যাচ দিয়ে বসেন ধ্রুব জুরেলকে। জিমির উইকেটের সঙ্গে ফাইফার নিতে সফল হন অশ্বিন, তবে তার চেয়েও বেশি প্রশংসা কুড়োয়ে জুরেলের ক্যাচ। কারণ সেটি একেবারেই সহজ ছিল না এবং ধরেছিলেন একহাতেও। ধারাভাষ্যকাররাও দাবি করেছেন যে এটি ম্যাচের সেরা ক্যাচের মধ্যে একটি বলা যেতেই পারে।
প্রসঙ্গত, এদিন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের মুখেও শোনা যায় ধ্রুব জুরেলের প্রশংসা। তিনি রীতিমতো টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে তুলনা করে বসলেন তাঁর। সানি বলেন, 'এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে ধ্রুব জুরেল খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে এর সঙ্গে ও একজন দারুণ উইকেটরক্ষকও। ম্যাচে ও যেভাবে সজাগ থাকে, তাতে এটা স্পষ্ট যে ও আগামী দিনের ধোনি হতে চলেছে। আমি জানি দ্বিতীয় এমএসডি হওয়া সম্ভব নয়, তবে আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি যে ধনী নিজে ক্রিকেট জীবনে প্রথম দিকে খেলতে নেমে যেই সচেতনতা ও বুদ্ধি দেখাতো, সেটা জুরেলও দেখিয়েছে। ওর মধ্যে সেই প্রতিভাটাও রয়েছে। ও খুব বুদ্ধিমান ক্রিকেটার।'