অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়েছে ভারত। যদিও ওডিআই সিরিজের শুরুটা খুব একটা ভালো করেনি টিম ইন্ডিয়া। প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছে ভারতীয় মেয়েদের। আর সেই টার্গেট নিয়েই খেলতে নামে তারা। তবে এদিন খুব একটা ভালো ফিল্ডিং করেনি ভারতের মেয়েরা। যা শোনা গিয়েছে দীপ্তি শর্মার গলাতেও। এই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলার এই অলরাউন্ডার। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এদিন কিছুটা হলেও অজিদের চাপে রাখে তারা। যদিও লাভের লাভ কিছুই হল না। পরপর দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া করল ভারত। কাজে এলো না রিচার লড়াকু ইনিংস।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অ্যালিসা হিলি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অজিরা ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান তোলে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন লিচফিল্ড। ৬টি বাউন্ডারির সৌজন্যে ৬৩ রান করেন তিনি। এছাড়াও পেরি ৪৭ বলে ৫০ রান করেন ৫টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়া আর কেউ সেই ভাবে বড় রান করতে পারেনি। ভারতীয় বোলারদের কাছে কার্যত ব্যাকফুটে চলে যেতে হয় অজি মেয়েদের। এদিন দীপ্তি ছাড়াও একটি করে উইকেট পেয়েছেন পূজা, শ্রেয়াঙ্কা এবং স্নেহ রানা। এছাড়া আর কেউ উইকেট পাননি।
বলা ভালো দীপ্তি একাই অজি ব্যাটারদের দাপট থামিয়ে দেন। তবে অস্ট্রেলিয়া শুরুটা বেশ ভালো করেছিল। কিন্তু সেই ছন্দ তারা ধরে রাখতে পারেনি। ভারতীয় বোলারদের চাপে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। দাপটের সঙ্গে কামব্যাক করে অল্প রানের মধ্যে আটকে রাখতে সক্ষম হয় তারা।
২৫৯ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামলে শুরুটা ভালোই করে তারা। বিশেষ করে এই ম্যাচে নজর কাড়েন বাংলার রিচা ঘোষ। বড় রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আর তাতেই জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে ভারত। যদিও তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন জেমিমাও। তিনি করেন মাত্র ৪৪ রান। রিচা এবং জেমিমা ছাড়া আর কেউ সেই ভাবে রান করতে পারেননি। ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন। ৯৬ রানের মাথায় ফিরে যেতে হয় তাঁকে। এই বঙ্গ সন্তানের সংগ্রহে ছিল ১৩টি বাউন্ডারি। তিনি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলে এই ম্যাচ জিততেই পারত ভারত। রিচা ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ৩ রানে জয়ী অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দল। পরপর দুই ম্যাচ জিতে ওডিআই সিরিজ পকেটে তুলল তারা।