রাহুল দ্রাবিড়ের ‘প্লে ডোমেস্টিক ক্রিকেট’ অর্থাৎ ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার বার্তা দেওয়ার পরেও, ইশান কিষাণের স্টেট অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে যে, তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটার এখনও যোগাযোগ করেননি।
ইশান কিষাণকে নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি চর্চা চলছে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন। তবে সফরের মাঝামাঝি বিরতিতে দেশে ফিরে আসেন ইশান কিষাণ। তার পরে তাঁকে ভারত বনাম আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বাছাই করা হয়নি। এবং বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে ইশানকে এই সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় অবশ্য এমন দাবি অস্বীকার করেছেন। কিন্তু ইশান কিষাণকে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের আগে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। রাহুল দ্রাবিড় প্রথম ভারত বনাম আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে সংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘ইশানের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইশান কিষাণ নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ ছিল না। ও দক্ষিণ আফ্রিকায় সফরের মাঝে বিরতির জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল, যা আমরা মেনে নিয়েছি এবং ওকে সমর্থন করেছি। ও এখনও নিজেকে নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ করেনি। আমি নিশ্চিত, যখন ও উপলব্ধ হবে, তখন ও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে এবং নিজেকে নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ করবে।’
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে নেটে কসরত করার ভিডিয়ো শেয়ার করলেন সূর্য, তবে খুশির খবর কি এত সহজে মিলবে?- ভিডিয়ো
এর মানে হল যে, সাত সপ্তাহ ধরে কোনও ক্রিকেট না খেলে, এই মাসের শেষের দিকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টের জন্য বাঁ-হাতিকে বাছাই করা হবে না, যেখানে কোনা ভরতকে প্রথম কিপার হিসাবে দেখা হচ্ছে।
ঝাড়খণ্ডের স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (জেএসসিএ) সেক্রেটারি দেবাশিস চক্রবর্তীর কাছ থেকে পিটিআই অবশ্য জানতে চেয়েছিল যে, কিষাণ চলতি রঞ্জি ট্রফির জন্য নিজেকে উপলব্ধ করেছেন কিনা, তিনি নেতিবাচক উত্তর দেন। বলেন, ‘না, ইশান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বা ওর প্রাপ্যতা সম্পর্কে আমাদের কিছু জানায়নি। ও যখনই আমাদের বলবে, ওকে প্লেয়িং ইলেভেনে রাখা হবে।’
এই ডামাডোলের মধ্যেই ইশান কিষাণ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া এক্স এবং ইনস্টাগ্রামে একটি ছোট ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন, যেখানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটসম্যানকে তাঁর দিনের শুরুতেই জন্য ধ্যান করতে দেখা গিয়েছে। এবং তার পরে তাঁকে মাঠে নেমে বিভিন্ন ধরনের কসরত করতে দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে দৌড়, হার্ডেল- এই সব কিছুই ছিল।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে মানসিক অবসাদের শিকার হন ২৫ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। যে কারণে তিনি বিরতি নেন। এবং তার সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছিল। তরুণ উইকেটরক্ষক প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেই বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, যা বিশ্বকাপ ফাইনালের কয়েকদিনের মধ্যে খেলা হয়েছিল। তাঁর আবেদনে সেই সময়ে কর্ণপাত করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত, কিষাণকে শেষ দু'টি ম্যাচ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি দলের সঙ্গেই ছিলেন। এর পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাদা বলের ক্রিকেট থেকে বিরতি চাইলেও, টেস্ট খেলতে আগ্রহী ছিলেন ইশান। আবার, তাঁকে বিরতি দেওয়া হয়েছিল। বিসিসিআই তাঁর নাম টেস্ট স্কোয়াড থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।
এটাও জানা গিয়েছে যে, ইশান নিজেকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টির জন্য উপলব্ধ করেছিলেন, কিন্তু ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় নির্বাচনের জন্য অনুপলব্ধ হওয়া সত্ত্বেও, তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যাইহোক, বুধবার কোচ দ্রাবিড় বলেছেন যে, বাঁ-হাতি তারকা আবার জাতীয় দলে ফিরে আসবেন,একবার তিনি নিজেকে নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ করলে। তবে তাঁকে অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করতে হবে।