শুভব্রত মুখার্জি: বিসিসিআইয়ের নির্দেশ সত্ত্বেও রঞ্জি ট্রফিতে না খেলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। পিঠের ব্যথার অজুহাত দেখিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে খেলেননি তিনি। এরপর রঞ্জির সেমিফাইনালে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে দলে ফেরেন তিনি। তবে দল বড় ব্যবধানে জিতলেও বলার মতো রান পাননি শ্রেয়স। সেই এক কাহিনি অব্যাহত থাকল রঞ্জি ফাইনালেও।শ্রেয়সের শর্ট বলের বিরুদ্ধে দুর্বলতা দীর্ঘদিনের।
আরও পড়ুন… প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের দৌড় থেকে ছিটকে গেলেন বজরং পুনিয়া, রবি দাহিয়া!
কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের এই শর্ট বলের বিরুদ্ধে যে দুর্বলতা তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার সামনে উঠে এসেছে। রঞ্জি ফাইনালে তাঁর সেই পুরনো দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে কম রানে তাঁকে আউট করলেন টিম ইন্ডিয়ার হয়ে এক সময়ে নিয়মিত খেলা পেসার উমেশ যাদব। উমেশের গতিতে এদিন পরাস্ত হতে হল শ্রেয়সকে।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: BAN vs SL 3rd T20I ম্যাচে দারুণ রান আউট করে ধোনির স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনলেন লিটন দাস
এ দিন ম্যাচে ১৫ বল খেলেন শ্রেয়স আইয়ার। করেছেন মাত্র ৭ রান। শ্রেয়সকে এদিন রঞ্জি ফাইনালে লাঞ্চের আগে আউট করে মুম্বইকে বড় ধাক্কা দেন উমেশ যাদব। শ্রেয়সের উইকেট হারানোর পরে লাঞ্চের সময় ৪১ বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন দলের স্কোর দাঁড়ায় ৯৯ রানে চার উইকেট। লাল বলের ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে খারাপ ফর্মে রয়েছেন ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। সদ্য শেষ হওয়া ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে প্রথম দিকে খেলেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার।একেবারেই ভালো ফর্মে ছিলেন না তিনি। রঞ্জিতেও সেই এক ছবি ধরা পড়ছে। একেবারেই ছন্দহীন মনে হচ্ছে তাঁকে। শর্ট পিচ বলের বিরুদ্ধে শ্রেয়সের যে ভয় সেই ভয়কেই কাজে লাগিয়ে এদিন বাজিমাত করলেন উমেশ যাদব।
শ্রেয়সের বিরুদ্ধে উমেশ বল করতে আসার পর থেকেই তাঁর পরিকল্পনা একেবারে দিনের আলোর মতন স্পষ্ট ছিল। ২৮ তম ওভারের প্রথম বলটাই শ্রেয়সকে শর্ট পিচ করেন উমেশ। শ্রেয়স আউট হওয়ার আগের চার চারটি বল ছিল শর্ট বল। উল্লেখ্য সেমিফাইনালে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধেও ঠিক এক ভঙ্গিমায় আউট হয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। আইয়ার প্রথম দুটি বল ছেড়ে দেন। কারণ বল পরে বাইরের দিকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। পঞ্চম বলটিও শর্ট অফ লেন্থে হালকা বাইরের দিকে করেন উমেশ যাদব। শর্ট পিচ বলের ভয়ে শ্রেয়সের স্ট্যান্স এমন ছিল যে তিনি পা নাড়াতেই পারেননি। জায়গায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তিনি বলটি খোঁচা দেন। স্লিপে সেই ক্যাচ নেন করুন নায়ার। ফলে রঞ্জি ট্রফিতে ফিরে আসার পর থেকে দুই ইনিংসে সব মিলিয়ে মাত্র ১০ রান করতে সমর্থ হলেন আইয়ার। আইপিএলের আগে তাঁর এই জঘন্য ফর্ম নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাখবে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টকে।