চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে ৭৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার পরে দিল্লির বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির গত ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন রোহিত শর্মা। এবার কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ফের লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন রোহিত। উইকেটকিপার-ব্যাটারের অর্ধশতরানের সুবাদেই শক্তিশালী কর্ণাটকের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় তুলে নেয় হরিয়ানা। যদিও দুরন্ত বোলিংয়ে হরিয়ানার জয়ের ভিত গড়েন যুজবেন্দ্র চাহাল।
আমদাবাদে বিজয় হাজারে ট্রফির সি-গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে কর্ণাটক ও হরিয়ানা। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কর্ণাটক। যদিও তাদের সেই সিদ্ধান্ত কতটা যথাযথ ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কেননা ৪৩.৫ ওভারে তারা মাত্র ১৪৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বিজয়কুমার বৈশাক অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি করেন। নাহলে কর্ণাটকের পক্ষে ১০০ রানের গণ্ডি টপকানোও মুশকিল হতো। কেননা একসময় তারা মাত্র ৭৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে। বিজয়কুমার ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্য়ে ৬১ বলে ৫৪ রান করে আউট হন।
এছাড়া মণীশ পান্ডে করেন ৪৪ বলে ২৪ রান। তিনি ৩টি চার মারেন। বিআর শরৎ ১৫ ও জগদীশা সূচিত ১২ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। রবিকুমার সামর্থ ১, নিকিন জোস ৯, অভিনব মনোহর ৩, মনোজ ভান্দাগে ৮, কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ১ ও বাসুকি কৌশিক অপরাজিত ২ রান করেন।
যুজবেন্দ্র চাহাল ১০ ওভার বল করে ২টি মেডেন-সহ ১৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। সুমিত কুমার ১০ ওভারে ২৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন। নিশান্ত সিন্ধু ২২ রানে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন। ২৯ রানে ২টি উইকেট নেন অংশুল কাম্বোজ। ২৫ রানে ১টি উইকেট দখল করেন হার্ষাল প্যাটেল। উইকেট পাননি রাহুল তেওয়াটিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে হরিয়ানা ৩১.১ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। রোহিত শর্মা ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭০ বলে ৬৩ রান করে আউট হন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭১ বলে ৪৩ রান করেন নিশান্ত সিন্ধু। ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৬ বলে ১৯ রান করেন ওপেনার যুবরাজ সিং।
কর্ণাটকের বাসুকি কৌশিক ও জগদীশা সূচিত ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি উইকেট নেন বিজয়কুমার বৈশাক।