দিল্লির বাতাসের মান 'অত্যন্ত গুরুতর' অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। গত পরশু একটা সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরে পরিণত হয়েছিল দিল্লি। সেই সময় দিল্লির একিউআই ছিল ৬৪০। দিল্লির বিষাক্ত বাতাসের কারণে ইতিমধ্যেই একবার করে অনুশীলন সেশন বাতিল করেছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা উভয় দেশই। এই সবের মাঝে বিশ্বকাপের এই ম্যাচ বাতিল হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, অন্তত মঙ্গলবার পর্যন্ত দিল্লির বাতাসের মান অত্যন্ত খারাপ থাকতে চলেছে। এই আবহে ম্যাচ হওয়া নিয়ে আজকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আইসিসি আধিকারিকরা। তবে ম্যাচটি যাতে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত করা যায়, তার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বিসিসিআই।
জানা গিয়েছে, এইমস-এর প্রাক্তন প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়ার সঙ্গে এই নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে বিসিসিআই। তাঁর থেকে ম্যাচ করানো নিয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। ডঃ রণদীপ গুলেরিয়ার পরামর্শ মেনেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে যাতে খেলোয়াড়রা শারীরিক সমস্যায় না পড়েন। মাঠে ওয়াটার স্প্রিংকলার বসানো হয়েছে। ড্রেসিং রুমে বসানো হয়েছে এয়ার পিউরিফায়ার। জানা গিয়েছে, গতকাল স্টেডিয়ামের একিউআই নজরে রাখা হয়েছিল। রণদীপ গুলেরিয়াকে সেই বিষয়ে জানানো হয়েছে। তাঁর মতে, স্টেডিয়ামের একিউআই যে পর্যায়ে, তাতে খেলা হতে পারে। ওদিকে বাংলাদেশের কোচ বলেছেন, আমাদের সামনে যে পরিস্থিতি আছে, তার মধ্যেই আমাদের খেলতে হবে। এদিকে দিল্লির মাঠ এবং পিচের প্রংশা শোনা যায় তাঁর গলায়।
এদিকে গতকালও শ্রীলঙ্কা অনুশীলন করেনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অবশ্য হালকা অনুশীলন করতে নেমেছিল। তবে তার মধ্যে লিটন দাশ, মুশফিকর রহিমদের মতো অনেকেই মুখে মাস্ক পরেছিলেন। এদিকে বাংলাদেশের কোনও পেসার গতকাল বল করেননি নেটে। এই আবহে আইসিসি মুখপাত্রের বক্তব্য, 'ম্যাচটা সোমবারই হবে বলে স্থির রয়েছে আপাতত। এর জন্য আইসিসির তরফ ডঃ গুলেরিয়া, বিসিসিআই, ডিডিসিএ এবং দিল্লি সরকারের সঙ্গে মিলে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। স্টেডিয়াম এলাকায় যাতে বাতাসের মান ভালো রাখা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।'
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালে ভারতে একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসে দিল্লিতে এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যেই পড়েছিল শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা। সেবার ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যচ খেলতে মাস্ক পরে নেমেছিলেন লঙ্কার ক্রিকেটাররা। দাবি করা হয়, ড্রেসিংরুমে গিয়ে অনেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের বমি হয়েছিল। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর শীতের আগমনে দিল্লির বাতাসের মান নেমে যায় তলানিতে। বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে মানুষজনকে বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। এবারও ছোট শিশুদের স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে আপাতত। এই আবহে ক্রিকেট বিশ্বকাপের এই ম্যাচ ঘিরে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ ঘুর ঘুর করছে দিল্লির বিষাক্ত বাতাসে।