দোলাচলে যাঁরা ছিলেন তাঁরা তো বটেই, এবার তৃণমূলের অন্দরে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন আস্থাভাজনরাও। গৌতম দেবের পর এবার দল ও সরকারের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। হুগলি জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রবীরবাবুর দাবি, লোকসভা নির্বাচনের পর দল ও সংগঠনের কাজে তিনি সন্তুষ্ট নন। এবং সেজন্য জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
গত লোকসভা নির্বাচনে হুগলি জেলার ৩টি আসনের মধ্যে ২টিতে জেতে তৃণমূল। তার মধ্যে আরামবাগ আসনটিতে জয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র হাজারখানেক। জেলার প্রায় অর্ধেক বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে তৎকালীন জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তকে সরিয়ে দিলীপ যাদবকে দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান দিলীপবাবু প্রবীরবাবুর বিরোধী বলে পরিচিত। বিধায়কের অভিযোগ, তার পর প্রায় ২ বছর কাটলেও হুগলিতে দলের পরিস্থিতির উন্নতি তো হয়নি। উলটে আরও খারাপ হয়েছে।
গৌতম দেবের মতো প্রবীরবাবুও তাঁর এলাকার একটি রাস্তা মেরামত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্লান্ত চেষ্টার পরেও উন্নয়নে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে তাতে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। আমার এলাকার একটা রাস্তা ২টি পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ রাস্তাটি মেরামতির দাবি তুললেও সুরাহা হয়নি।’
জবাবে দিলীপবাবু বলেন, ‘কিছু বলার থাকলে দলীয় ফোরাম রয়েছে। সেখানে প্রস্তাব দিলে নিশ্চই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
বলে রাখি, মাসকয়েক আগে সিঙুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পর তাঁর মানভঞ্জনের জন্য প্রবীর ঘোষালকে পাঠিয়েছিল দল। এবার সেই প্রবীরবাবুই দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন।