অসম বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। আর এই নির্বাচনী মরশুমে কংগ্রেস, এআইইউডিএফ–সহ অসমের সব আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলিকে একযোগে আক্রমণ করলেন অমিত শাহ। একইসঙ্গে তিনি দাবি করলেন, বিজেপি এবং তাদের শরিক অসম গণ–পরিষদ একমাত্র রাজ্যের শান্তি–উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে। আর অবৈধ অনুপ্রবেশ থেকে মুক্তি দিতে পারে অসমকে। এখন অসমজুড়ে কংগ্রেস প্রচারে নেমে দাবি করছে যে নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে আদতে এখানকার মানুষজনের মধ্যে বিভাজন করতে চাইছে বিজেপি সরকার। তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার কংগ্রেস–সহ অন্যান্য দলকে তুলোধনা করেছেন শাহ।
উন্নয়ন ও শান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল অসমে শুধু হিংসা ও অশান্তি লেগেই থাকত। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের সবথেকে বড় অবদান হল—শান্তি, উন্নয়ন এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন দেওয়া। এমনকী অবৈধ অনুপ্রবেশও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি সমাজ সংস্কারক শ্রীমন্ত সরকারদেবের জন্মভিটের কাছে র্যালি করেন শাহ। সেখান থেকেই অসম নিয়ে সোচ্চার হন তিনি।
এখানে ১৮৮ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করে তোপ দাগেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও কংগ্রেস শ্রীমন্ত সরকারদেবের জন্মভূমিতে কোনও উন্নয়ন করেনি। মানুষের জন্য কিছু করেনি। শুধু ভোট এলে কংগ্রেসকে দেখা যায়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, তাঁদের উপর গুলি চালানোর জন্য কংগ্রেস দায়ী। এখন কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে এবং বিজেপির ভোট কাটতে বিভিন্ন দলকে বিভিন্ন নাম নিয়ে আসা হচ্ছে। এখানের আঞ্চলিক দলগুলিকে মানুষ ভোট দেবে না। তারাও জানে যে তারা জিতবে না। কিন্তু ভোট কেটে কংগ্রেসকে সাহায্য করতে চাইছে। এটা দুঃখজনক। তারা কি বুঝতে পারছে না যে অসমের মানুষ সব দেখতে পাচ্ছেন? এখানের মানুষ জানেন যে, বিজেপি এবং অসম গণ–পরিষদ সরকারই শান্তি উন্নয়ন ঘটাতে পারে।’
এটা অবশ্য অমিত শাহের তৃতীয় অসম সফর। এপ্রিল–মে মাসে এখানে বিধানসভা নির্বাচন। এখানে ১২৬টি আসনের মধ্যে ১০০টির বেশি আসন দখল করতে চায় বিজেপি। তাই এখানে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘শান্তি এবং উন্নয়ন কখনও অস্ত্রের দ্বারা অর্জন করা যায় না। আমি ১,০০০ সদস্যকে স্বাগত জানাব। যাঁরা দু’দিন আগে অস্ত্র ত্যাগ করেছে। আর আমি আশ্বস্ত করছি সমস্ত প্রতিশ্রুতি এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।’