জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। ভোট পরিস্থিতি দেখতে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্পেশাল ক্যাডার প্রাইমারি স্কুলের বুথের কাছের রাস্তায় গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এলাকার মহিলারাও তাঁকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল কর্মীদের দাবি, ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে বিজেপি সাংসদ এই অভিযোগ মানতে চাননি। সংবাদমাধ্যমের ক্য়ামেরার সামনেই দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়।
তৃণমূলের স্থানীয় এজেন্ট কৃষ্ণদেব অধিকারী বলেন, সাংসদ ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য এলাকায় ঘুরছেন। বিজেপির প্রার্থীকে নিয়ে তিনি ঘুরছেন। যবে থেকে সাংসদ হয়েছেন, সাধারণ মানুষের জন্য চারআনা বরাদ্দ করেননি, সাধারণ মানুষের খোঁজ নেন না. তাঁর দেখা পাওয়া যায় না অথচ ভোটের দিন উপস্থিত হয়েছেন। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাংসদ মিথ্যা কথা বলছেন। কোনও বুথ জ্যাম আমরা করিনি। সাংসদ মিথ্য়াবাদী। তিনি নির্বাচনী বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে এসেছেন। এটা তিনি করতে পারেন না। সাধারণ মানুষ তো বলছেন এতদিন কোথায় ছিলেন? আজ চলে এলেন? তাঁরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
এদিকে পেশায় চিকিৎসক সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন. ঝামেলা করাই এদের স্বভাব। আমি কাউকে প্রভাবতি করিনি। এখানে শুনতে পাচ্ছিলাম বুথ জ্যাম করার চেষ্টা চলছে। সেটাই দেখতে পাচ্ছিলাম। ওরা মিথ্যা কথা বলছে।