‘নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের গুন্ডা জড়ো করছে TMC’, CAPF মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুদের

বিধাননগর পুরনিগম, চন্দননগর পুরনিগম, সিউড়ি পুরসভা এবং সাঁইথিয়া পুরসভার কয়েকটি এলাকাও চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী। (PTI)

পুরভোটের আগে ধর্মীয় তাস খেললেন শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করলেন, নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের গুন্ডা জড়ো করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারইমধ্যে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখল বিজেপি। বিধাননগর পুরনিগম, চন্দননগর পুরনিগম, সিউড়ি পুরসভা এবং সাঁইথিয়া পুরসভার কয়েকটি এলাকাও চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করা হয়, নিয়মিত গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে হুমকি। তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি প্রার্থীদের প্রচার করতে দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়। বিজেপির দাবি, পুলিশও শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। সেক্ষেত্রে আবার নির্দিষ্টভাবে সাঁইথিয়া পুরসভার উল্লেখ করা হয়েছে। মানুষের আস্থা ফেরাতে এবং ভয়ের পরিবেশ দূর করতে অবিলম্বে সিএপিএফ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছে বিজেপি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সাঁইথিয়া-সহ কয়েকটি পুরসভা এলাকায় স্থানীয় পুলিশ লোকজনকে ফোন করে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করতে বলছে এবং বিজেপির সঙ্গে না থাকতে বলছে। সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার, ডিআইজি, এমনকী ডিজির নামও নেওয়া হচ্ছে।’ চিঠিতে বিধাননগর পুরনিগমের ৪, ৮, ২৩, ২৭, ৩১, ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড; চন্দননগর পুরনিগমের ২, ৪, ৫, ৬, ১০, ১২, ২০, ২৯, ৩১ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড; সিউড়ি পুরসভার ১ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড এবং সাঁইথিয়া পুরসভার ১ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের উল্লেখ করা হয়েছে।

তারইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের গুন্ডাদের জড়ো করছে। তবে আমরা ভোটে লড়াই করতে প্রস্তুত। রাজ্য নির্বাচন কমিশন তো তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা অফিস।’