পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের। গতকাল পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালের টিজি ময়দানে একটি জনসভায় বক্তৃতা রাখার সময় তিনি বলেন, '৮ জুলাই সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আর যদি ভোট দিতে গিয়ে তৃণমূল বাধার মুখে পড়েন, তাহলে ঝাঁটা, লাঠি, বটি, লঙ্কাগুঁড়ো হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোবেন।' অগ্নিমিত্রার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখে নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে। (পঞ্চায়েত ভোটের যাবতীয় লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
উল্লেখ্য ভোট প্রচারে পশ্চিম বর্ধমান জুড়ে চষে বেরাচ্ছেন অগ্নিমিত্রা। কোথাও বিজেপি কর্মীদের মারধরের ঘটনায় সোচ্চার হচ্ছেন, কখনও আবার অভিযোগ করছেন, ভিনরাজ্যের ভোটারকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মাঝে গতকাল তাঁর প্রচারের সময় রতিবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপুই কোলিয়ারি সংলগ্ন এলাকায় ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। অভিযোগ, এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। অভিযোগ ওঠে রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি বিনোদ নুনিয়া ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এদিকে ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তোলে তৃণমূল। এর আগে পাণ্ডবেশ্বরের প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা। এই আবহে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গতকাল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অণ্ডালের জনসভা থেকে হাতে 'ঘরোয়া হাতিয়ার' তুলে দেওয়ার নিদান দেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্লেনের টিকিট বাতিল করে ট্রেনে কলকাতায় ফিরলেন রাজ্যপাল, পথে বাসন্তীর নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ফোন
এদিকে রতিবাটি গ্রামের ঘটনা নিয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, 'আমি এলাকায় প্রচারে আসার পরই এখানকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী ও আমাকে বাধা দেয়। আমাদের মণ্ডল সভাপতির ওপর আক্রমণ করা হয়। তাঁর গলা টিপে ধরে তৃণমূল কর্মীরা। তাঁকে বলা হয় এটা নাকি ওদের এলাকা। এখানে বিজেপির হয়ে প্রচার করা যাবে না।' এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বিনোদ নুনিয়ার পালটা অভিযোগ, 'প্রচার করতে এসে চোর চোর শ্লোগান দিচ্ছিল বিজেপির কয়েকজন বহিরাগত কর্মী সমর্থক। তারাই তৃণমূলের ব্যানার ছিঁড়ে দেয়। এর প্রতিবাদ করে তৃণমূল কর্মীরা। আর সেটাকেই বিজেপি এখন হামলা বলে তুলে ধরছে।' এদিকে দুই দলের সংঘর্ষের পর রাস্তায় বসে পড়েন অগ্নিমিত্রা ও বিজেপি কর্মীরা। পরে দু'পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।