রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা মোকাবিলায় আর শুধুমাত্র পুলিশের ওপর ভরসা করবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার বিএসএফের তরফে জারি এক বিবৃতিতে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ করে জানানো হয়েছে, কোথাও হিংসার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা জেলায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের জানান।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও তার পরবর্তী হিংসা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বুধবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিএসএফের আইজির সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। সেখানে হিংসা মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের তরফে বিএসএফকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের তরফে সমস্ত জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে বৈঠকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন বিএসএফের আইজি সতীশচন্দ্র বুদাকোটি। সূত্রের খবর, বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিএসএফের অভিজ্ঞতার কথা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের পরামর্শও নিয়েছেন তিনি।
তার পর বিএসএফের তরফে জারি এক বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে আহ্বান করা হয়েছে, ‘আপনাদের প্রতিনিধিরা মাঠে ময়দানে রয়েছেন। আপনারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। সেই সূত্রে আপনারা ভোট পরবর্তী হিংসার কোনও খবর বা কোনও আগাম তথ্য পেলে জেলায় মোতায়েন আমাদের বাহিনীর আধিকারিকদের তা জানান। জেলায় জেলায় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।’
সংবাদমাধ্যমের প্রতি বিএসএফের এই আবেদনে স্পষ্ট, পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুধুমাত্র পুলিশের মুখাপেক্ষী থাকতে নারাজ তারা। সঙ্গে এটাও স্পষ্ট যে পুলিশের পরোয়া না করেই এবার থেকে অ্যাকশনে নামতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী।