আগামিকালই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে এখনও কাটেনি বাহিনী জট। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছয়নি রাজ্যে। পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কেরল, রাজস্থান সহ দূর দূরান্তের বহু রাজ্য থেকে বাহিনী রওনা তো দিয়েছে। তবে শনিবার ভোটের আগে ঠিক সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। (পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতী খবর ও লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
জানা যায়, গতরাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর (বিএসএফ) আইজি-র সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিকে জানা গিয়েছে, জওয়ানদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আশঙ্কায় বাহিনী। এই আবহে পঞ্চায়েত ভোটের একদিন আগে ফের জটিলতা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের কোনও বুথে একা কোনও জওয়ানকে মোতায়েন করতে চাইছে না বাহিনী। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে জওয়ানরাও নিরাপদ নন। তাই কোনও বুথে যদি জওয়ানকে একা মোতায়েন করা হয়, তাহলে তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সেকশনে মোতায়েন করতে হয়। একটি সেকশনে ১১ জন করে জওয়ান থাকে। তবে ভোটের ক্ষেত্রে 'হাফ সেকশন' বা ৪ জন জওয়ানকে এক জায়গায় মোতায়েন করা যায়। তবে সেই হিসেবে রাজ্যের ৬১ হাজার বুথে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার জওয়ান মোতায়েন করতে হবে। তবে রাজ্যে মোতায়েন হবে মাত্র ৮২২ কোম্পানি বাহিনী। তার মধ্যে ৮২ হাজার জওয়ান আছেন। যদিও ভোটের ডিউটিতে মোতায়েন করা যাবে মাত্র ৬৫ হাজার জওয়ান। এই আবহে এক একটি বুথে একজন করে জওয়ান মোতায়েন করতে হবে। তবে তা করতে চাইছেন না বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর। এদিকে এরই মধ্যে বাকি বাহিনীর অপেক্ষায় রয়েছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, বিশেষ ট্রেনে করে পশ্চিমবঙ্গে বাহিনী পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে গত ৫ জুলাই বাকি বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এদিকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, বাকি ৪৮৫ কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বাহিনী নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে সময় মতো। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, এই বাকি বাহিনী সময় মতো পৌঁছতে না পারলে ভোট কী ভাবে মেটানো হবে?