কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে রাজ্যে। সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের দাবিতে পঞ্চায়েত ভোটে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিরোধীরা। স্বাভাবিকভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় খুশি বিরোধীরা। ভোটারদের মনোবল বাড়াতে একাধিক জায়গায় রুটমার্চ করতে শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চে পুষ্প দিয়ে স্বাগত জানালেন এলাকার মানুষ। মালদার সাহাপুর এলাকার বাসিন্দারা শঙ্খ বাজিয়ে এবং পুষ্প বর্ষণ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: বাংলায় টহলদারি শুরু কেন্দ্রীয় বাহিনীর, খরচ চেয়ে রাজ্য পুলিশের চিঠি নয়াদিল্লিকে
রবিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকায় রুটমার্চ করেন। তাদের সঙ্গে ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করার সময় বিভিন্ন এলাকার মানুষকে প্রশাসনের তরফ থেকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাদের ভোট দেওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা, অভিযোগ রয়েছে কিনা বা হুমকি দেওয়া হচ্ছে কিনা। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে প্রশাসন তাদের পাশে রয়েছে বলে জনগনকে আশ্বাস দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাজ্যে আগেই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে। বাকি যে বাহিনী আসবে, তা কোথায় মোতায়েন হবে? এই অবস্থায় আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
এদিকে, ভাঙড়ে মনোনয়ন পর্বে দফায় দফায় মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। সেখানে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি বীরভূমের নানুরে এদিন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
হাওড়াতেও একাধিক স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। বিশেষ করে উলুবেড়িয়ায় মনোনয়ন পর্বে বেশ কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। আজ সকালে উলুবেড়িয়া এক নম্বর ব্লকের হাটগাছা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা রুটমার্চ করেন। তাদের সঙ্গে ছিল উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে তাদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে মাল বাজারে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জওয়ানরা মালবাজার ব্লকের কুমলাই এবং তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।