এবার সন্ত্রাসের বাতাবরণ দেখা গেল কোচবিহারে। বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তারপর তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। কোচবিহারের দিনহাটার ওই বাসিন্দার নাম শম্ভু দাস। তাঁর বৌদি বিশাখা দাস দিনহাটার কিসামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী। তাই এই খুনের পিছনে রাজনীতি আছে বলে মনে করছেন দাস পরিবার। মাঝরাতে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদলের দাবি, এটার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।
এদিকে দাস পরিবারের অভিযোগ, মাঝরাতে কয়েকজন এসে শম্ভু দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। যদিও এটা ব্যক্তিগত হিংসা নাকি রাজনৈতিক খুন সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে দিনহাটার এই খুনের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে বিজেপি। যদিও দিনহাটার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক উদয়ন গুহর দাবি, এসবের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন–পর্ব শেষ পর্যন্ত মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বাংলায় রাজনৈতিক মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য।
অন্যদিকে এই শম্ভু দাস কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁর বউদি বিশাখা দাস দিনহাটায় কিশামাত দশগ্রামের টিয়ারদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী। শনিবার রাতে খাওয়া সেরে নেওয়ার পর বাড়িতেই ছিলেন শম্ভু দাস। মাঝরাতে তাঁকে বাড়িতে কয়েকজন ডাকতে আসে। তারা বলেছিল বড় বিপদ হয়েছে এক্ষুণি যেতে হবে। সুতরাং ওই লোকজনকে তিনি চিনতেন। তাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শম্ভু দাস। তারপরেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে সূত্রের খবর। আজ, রবিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
কে, কি ঠিক বলছেন? এই ঘটনায় দাস পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শম্ভু দাসের বাবা নরেন দাস সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রাতে ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। আমার মেজো ছেলের বউ বিজেপি প্রার্থী বলেই ছোট ছেলে শম্ভুকে তাই খুন করা হয়েছে। এখানে অনেক বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নের কাগজ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এবার আমাদের ভয় দেখাতে খুন করেছে তৃণমূল।’ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘রাজ্য় নির্বাচন কমিশন চোখ বন্ধ করে রেখেছে।’