মনোনয়নের শেষ দিনে চোপড়ায় চলল গুলি, আহত একাধিক কর্মী, মৃত একজন

এখানের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বিডিও দফতরের দূরত্ব ১৮ কিমি। এই রাস্তা ধরেই আজ হেঁটে যাচ্ছিলেন তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে। কাঁঠালবাড়ি এলাকায় হঠাৎ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। আর তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনজন বলে সূত্রের খবর। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা।

বাম–কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আজ, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পর্বের শেষদিন। আর এই দিনেই কেঁপে উঠল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। আজ চোপড়ার কাঁঠালবাড়িতে বাম–কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে হিংসার ঘটনা দেখেছে মানুষজন। তবে সেটা ছিল আইএসএফ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। এবার বাম–কংগ্রেস প্রার্থীরা মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন। তখনই কয়েক রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

এদিকে এই গুলি চলার ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। মিছিল করে আজ, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম–কংগ্রেস কর্মীরা। তখন তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন বাম–কংগ্রেস কর্মী। গুলিবিদ্ধ পর্যন্ত হয়েছেন দু’‌তিনজন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। কিন্তু আজকের এই ঘটনা মনোনয়ন কেন্দ্র থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হয়েছে বলেও অভিযোগ। আহতদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে এখানের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বিডিও দফতরের দূরত্ব ১৮ কিমি। এই রাস্তা ধরেই আজ হেঁটে যাচ্ছিলেন তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে। কাঁঠালবাড়ি এলাকায় হঠাৎ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। আর তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনজন বলে সূত্রের খবর। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। জখমদের একজনকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকি দু’জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

আর কী খবর মিলছে?‌ গুলি চালাতেই ওই মিছিল আতঙ্কে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গুলিতে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন বাম–কংগ্রেস কর্মী। শেষ খবর পাওয়ায় পর্যন্ত জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনা নিয়ে সিপিএমের শীর্ষ নেতা সুজন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌এটাই এখন বাংলার আসল চেহারা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন দেখেও না দেখে রয়েছে। তাই কাজ করছে না।’‌ অধীররঞ্জন চৌধুরীও ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, ‘‌অশান্তির আগেই শুরু হয়। চোপড়ায় আগে কংগ্রেস নেতাদের অপহরণ করা হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসই অশান্তিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমি চিঠি লিখে আগেই অশান্তির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম।’‌