পঞ্চায়েত ভোটে হাতে গোনা আর ১৪ দিন বাকি। মনোনয়ন জমা এবং প্রত্যাহার পর্ব শেষ হতেই শুরু গিয়েছে প্রচারের পালা। অন্য দিকে ভোট পর্ব সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনও প্রস্তুতি নিচ্ছ জোর কদমে। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
(পড়তে পারেন। ৫ বছর আগেকার বোমা ফেটে হাত উড়ে যায়!ভোট এলেই ভয় পায় পৌলমী)
পঞ্চায়তে নির্বাচন হবে ব্যালট বক্সে। তাই পাঁচ বছর পর বিডিও অফিসের গুদাম গুদাম থেকে বার করা হয়েছে ব্যালট বাক্স। ঝাড়পোছ করে তা পাঠানো হচ্ছে স্ট্রং রুমে। এই ছবিই চোখ পড়ল জয়নগর দু'নম্বর বিডিও অফিসে।
সেখানে সকাল থেকে ব্যালট ব্যাক্স গুদাম থেকে বার করার কাজ চলছে। সেগুলি বার করে ধুলো ঝাড়া হচ্ছে। তেল দেওয়া হচ্ছে। তার পর সেগুলি পাঠানো হচ্ছে নিমপিঠ রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবন স্কুলের স্ট্রংরুমে।
বিডিও অফিসে এই ব্যালট বাক্স তদারকি দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, ‘জয়নগর দুনম্বর ব্লকে চারটে করে মোট ২১৫টি ব্যালট বাক্স পাঠানো হবে স্ট্রং রুমে। তার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে ব্যালট বাক্সগুলিকে। পরে স্ট্রংরুমে থাকাকালীন আরও এক বার পরিষ্কার করা হবে। এই চারটির মধ্যে দুটি হল জেলা গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য। বাকি দুটির মধ্যে একটি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের জন্য।’
নিমপিঠ স্কুলের স্ট্রংরুমে গিয়ে দেখা গেল সেখানেও চূড়ান্ত ব্যস্ততা। স্কুলের তিনতলায় করা হয়েছে স্ট্রংরুম। সেখানেই ঘরের মধ্যে সারিবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে ব্যালট বাক্সগুলি। চক দিয়ে দাগ কেটে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিটা ব্যালট বাক্সের জন্য পৃথক পৃথক জায়গা।
স্কুলের যে অংশটিতে স্ট্রংরুম করা হয়েছে, সেখানে তারের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে এলাকায়। বসানো হয়েছে কলাপসেবল গেটের ভিতর বাড়তি নিরাপত্তা জন্য করা হয়েছে আরও একটি গেট। ক্লাস রুমের জানলা আটকে দেওয়া হয়েছে টিন দিয়ে। ট্রেনিং ও ভোটের অন্যান্য কাজের জন্য মাঠ জুড়ে করা হয়েছে মণ্ডপ। পুলিশ থাকলেও এখনও তা কয়েকজনই।
কদিন আগে পর্যন্ত গুদাম বন্দি ছিল জলপাই রঙের ব্যালট বাক্সগুলি। পাঁচ বছর ধরে। পড়েছিল ধুলো। আবার তা চকচকে হয়েছে। আস্তে আস্তে তাদের গুরুত্ব বাড়ছে। আগামী ৮ জুলাই এই ব্যালট বাক্সগুলোই হয়ে উঠবে অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। তার মধ্যে বন্দি থাকবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রার্থীর ভাগ্য। খুললেই মিলবে উত্তর। কে জিতল, কে হারল।