আবার গুলির অভিযোগ দিনহাটায়। এবার নিশানায় তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী। তার পায়ে গুলি লেগেছে বলে পরিবারের দাবি। দফায় দফায় উত্তেজনা দিনহাটায়। কোচবিহারের দিনহাটার ১ নম্বর ব্লকের গীতালদহ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের কোনামুক্তা গ্রামের ঘটনা। আহত ব্যক্তি তৃণমূল করেন। নাম আজিজুর রহমান। তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
তিনি তৃণমূল প্রার্থী ডলি খাতুনের স্বামী। ভর সন্ধ্যায় ওই যুবককে গুলি করা হয়েছে। অভিযোগ, নির্দল প্রার্থীর অনুগামীরা এই গুলিকাণ্ডের পেছনে রয়েছে। দলের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় প্রথমে বচসা, এরপর গুলি চালানো হয়। মাথাও ফেটেছে।
মিটিং থেকে আসার সময় প্রথমে মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর পায়ে গুলি করা হয়েছে। জানিয়েছেন ডলি খাতুন।
এদিকে গোটা ঘটনায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এর পেছনে বিজেপির দুষ্কৃতীরা রয়েছে। বিজেপি এই অভিযোগ মানতে চায়নি। তাদের দাবি এসব তৃণমূলের নিজেদে মধ্যে গণ্ডগোল। এর পেছনে বিজেপির কেউ নেই।
তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের যারা টিকিট পায়নি তারা গোঁজ প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। তারাই নির্দলে লড়ছেন। তাদের সঙ্গেই তৃণমূল প্রার্থীর লড়াই দিনহাটার বিভিন্ন প্রান্তে। এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৮ সালেও দিনহাটায় মাদার ও যুবর মধ্য়ে একেবারে মুখোমুখি লড়াই ছিল। এবারও সেই ছবি ফিরে আসছে। তার জেরেই লড়াই পুরোদমে। এদিনের ঘটনা তারই জেরে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে পঞ্চায়েত ভোটপর্বে ফের সন্ত্রাস শুরু হয়েছে কোচবিহারে। বহু বিরোধীদলের লোকজন ঘরে থাকতে পারছেন না। আশ্রয় নিয়েছেন পার্টি অফিসে। অনেকে আবার আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছেন।
সম্প্রতি দিনহাটার ওকরাবাড়িতে এক তৃণমূল কর্মী হামলার শিকার হয়েছিলেন। ২৫২ নম্বর সম্ভাব্য প্রার্থীকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনে এই ঘটনা হয়েছিল। লিপটন হক নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর। গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। একটি বোমা উদ্ধার হয়েছিল এলাকা থেকে। পরিবার দাবি করেছিল গুলি চালানো হয়েছিল লিপটনকে নিশানা করে। তবে পুলিশের দাবি,ছিল, গুলি নয়, লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল।
সেই রেশ কাটার আগেই এবার তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর উপর হামলা।