পঞ্চায়েত ভোটের কাজে পার্শ্বশিক্ষক ও মেডিক্যাল অফিসারদের ব্যবহার করা যাবে না, এই মর্মে জেলাশাসক ও নির্বাচন আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের ২২ জেলার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকদেরও।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিবের দেওয়া এই নির্দেশ বলা হয়েছে, আগে লক্ষ্য করা গিয়েছে ভোটের কাজে পাশ্বশিক্ষকদের ও মেডিক্যাল অফিসারদের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু এ বার যেন তাঁদের ভোটের কাজে লাগানো না হয়।
কী কারণ এই সিদ্ধান্ত
কেন রাজ্য় নির্বাচন কমিশনএই সিদ্ধান্ত নিল তার কারণ কিছু জানানো হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, পার্শ্ব শিক্ষিক ও মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটে কাজে লাগানো হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে ছিল। সেই জল্পনায় জল ঢালতেই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার
ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করা হতে পারে এই অশঙ্কা করেছিল বিজেপি। তারা আদালতে জনস্বার্থ মামলাও করে। মামলাকারীর বক্তব্য, পুরভোটে অস্থায়ী কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছিল, তাই পঞ্চায়েত ভোটেও একই ভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মী লাগানো হতে পারে। এই ভোটে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কাজে লাগানো থেকে বিরত রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন মামলাকারী। এই নিয়ে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হতে পারেন।
আদালতে কমিশন বলে, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোটদের কাজে স্থায়ী কর্মীদেরই অগ্রাধিরের ভিত্তিতে কাজে লাগনো হবে। শুধুমাত্র প্রয়োজন দেখা দিলে নির্দিষ্ট কিছু কাজে অস্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার করা হবে। এ বিষয়ে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, চতুর্থ পোলিং অফিসারের নীচে ভোটের কোনও কাজে সিভিক ভলান্টিরাদের ব্যবহার করা হতে পারে।
জেলাপিছু মাত্র ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে জেলাপিছু এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এছাড়া স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ১ কোম্পানি বাহিনীর সঙ্গে আরও এক কোম্পানি কমব্যাট ফোর্স চেয়েছে রাজ্য। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর, রাজ্যের স্পর্শকাতর এই ৬টি জেলায় ২ কোম্পানি করে বাহিনী নামাতে চলেছে তারা। তার মধ্যে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ১ কোম্পানি কমব্যাট ফোর্স। বুধবার থেকেই উপদ্রুত এলাকাগুলিতে টহলদারি শুরু করছে তারা।