রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার জন্য ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মিলবে ৩১৫ কোম্পানি। তাও পঞ্চায়েত ভোটের এক সপ্তাহেরও কম বাকি থাকতে মাত্র এখনও পর্যন্ত সাকুল্যে ২২ কোম্পানি রাজ্য এসেছে। বাকি বাহিনীও এসে যাবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই বাহিনী কী ভাবে ব্যবহার করা হবে তার রূপরেখা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তাঁর অফিসে থেকে বেরোনোর সময় বলেন, 'যে সমস্ত বুথ স্পর্শকাতর সেখানে বেশি ফোকাস করতে বলেছি।' অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত যে সংখ্যক বাহিনী পাওয়া যাবে তা মূলত ব্যবহার করা হবে স্পর্শকাতর বুথগুলিতে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বাহিনীকে নাকা চেকিং ও টহলদারির কাজে লাগানো হবে। এ ছাড়া জেলায় ভ্রাম্যমান বাহিনী হিসাবে ব্যবহার করা হবে। এলাকায় টহলদারী দিয়ে ভোটারদের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর কাজ করবেন জাওয়ানরা। এ ছাড়া এলাকা নিয়ন্ত্রণ, সীমান্ত এবং সীমানার চেকপোস্টে নজরদারির কাজে লাগানো হবে। তবে বুথে কী ভাবে মোতায়েন করা হবে সে বিষয়ে কিছু লেখা হয়নি কমিশনের চিঠি। তবে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বক্তব্য অনুযায়ী, স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েনের ব্যবহারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
চালু হচ্ছে কন্ট্রোল রুম
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম চালু করতে বলল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ অর্থাৎ শনিবার থেকে এই কন্ট্রোল রুমগুলি চালু হচ্ছে। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুমগুলি চালু থাকবে। এই কন্ট্রোল রুমে যে অভিযোগ আসবে সেই অভিযোগগুলির ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে বলে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
রাজনৈতিক দলগুলিকেও এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর দেওয়া থাকবে। ভোটের দিন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রেও কন্ট্রোল রুমের নম্বর দেওয়া থাকবে। যাতে ভোটারও কোনও সমস্যায় পড়লে অভিযোগ জানাতে পারেন। এছাড়া প্রতিটি কন্ট্রোলরুমে একটি করে রেজিস্ট্রার থাকবে। কোন অভিযোগ আসছে, তার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার সব কিছু ওই রেজিস্ট্রারে লেখা থাকবে।
মনোনয়ন পর্ব থেকে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা শুরু হয়েছে। নির্বাচনের আর এক সপ্তাহেরও কম সময় বাকি থাকলেও তা কমার লক্ষণ নেই। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করাই চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। তাই দাবি মতো বাহিনী না পেলেও যাতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করা যায়, সে লক্ষ্যেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।