পঞ্চায়েত ভোটে এবার লাগাতার হিংসা। একের পর এক মায়ের কোল খালি হয়ে গিয়েছে। এই হিংসার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। শাসকের দাবি এর পেছনে বিরোধীদের হাত রয়েছে। এসবের মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক ভিডিয়ো সামনে আনল তৃণমূল। রাজ্যে ৩৫৫ ধারা লাগু করা নিয়ে খোদ শুভেন্দু অধিকারী যে পরিকল্পিতভাবে হিংসা তৈরি করেছেন সেদিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এনিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। বৃহস্পতিবার তিনি টুইট করে একটি ভিডিয়ো সামনে এনেছেন। এককথায় বিস্ফোরক ভিডিয়ো। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে যে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে তা এককথায় ভয়াবহ।
সেই ভিডিয়োতে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, পথই পথ দেখাবে।এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে ৩৫৫ লাগবেই। এছাড়া কোনও পরিত্রাণ পশ্চিমবাংলার নেই। অনেক জিনিস করাতে হয়। কী করে করাতে হয় আমি জানি।….এই পর্যন্ত শোনা গিয়েছে ভিডিয়োতে। কিন্তু এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
টুইচ করে ডেরেক ও ব্রায়েন লিখেছেন, বিস্ফোরক ভিডিয়ো। এখানে ফাঁস হয়ে গিয়েছে, গ্রামীণ বাংলায় এই হিংসার পেছনে কে ছিলেন। বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে টুইট করে ডেরেক জানিয়েছেন, 'আমাদের এমন এক পরিবেশ তৈরি করতে হবে যে যেখানে ৩৫৫ ধারা লাগু হবেই। কীভাবে সেটা করতে হয় সেটা আমি জানি'।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী সহ তাবড় বিজেপি নেতৃত্ব বাংলার ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা লাগু করার দাবিতে জোরালো সওয়াল করেছিলেন। ভোটের হিংসার জেরে রীতিমতো লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছিলেন।
এদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের পোস্ট করা ভিডিয়োতে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, পথই পথ দেখাবে।এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে ৩৫৫ লাগবেই। এছাড়া কোনও পরিত্রাণ পশ্চিমবাংলার নেই। অনেক জিনিস করাতে হয়।
এখানেই প্রশ্ন ঠিক কী করানোর কথা বলছেন শুভেন্দু? তবে কি গ্রামে গ্রামে লাগামছাড়া হিংসা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঠিক সময়ে না আসা, এত খুন, রক্ত, হিংসা সবটাই পরিকল্পিতভাবে করানো হয়েছিল? তবে কি ৩৫৫ ধারা জারি করার জন্য কিছু পটভূমি দরকার ছিল? সেই নিরিখেই পরিকল্পিতভাবে এই খুনোখুনির রাজনীতি? উত্তর মেলেনি। তবে এই ভিডিয়ো কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে বাংলার রাজনীতির আঙিনায়।