বিদ্রোহের চাপে বঙ্গে ক্রমেই ঝুঁকে পড়ছে পদ্ম। মতুয়া বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া থেকে শুরু করে সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারিদের মতো বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের পিকনিক। নানামুখী ‘বিদ্রোহে’ জেরবার বঙ্গ বিজেপি। পুরভোট নিয়েও চাপে পদ্ম শিবির। আর এরই মাঝে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরের এক হোটেলে এবার বৈঠক করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবার বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। ভিনরাজ্যের হোটেলে দুই সাংসদের এই বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
বঙ্গ বিজেপির বিদ্রোহীদের একছাতার তলায় আনার কাজ করছেন শান্তনু ঠাকুর। উত্তর, দক্ষিণ থেকে পশ্চিম, বঙ্গের সব অংশের বিদ্রোহীদের সঙ্গেই যোগাযোগ বজায় রাখছেন শান্তনু। আর শান্তনুর এই কার্যকলাপে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্য সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। এই আবহে লকেট-শান্তনু বৈঠকে চাপ বাড়ল সুকান্ত-অমিতাভ জুটির উপর। বিদ্রোহীরা দাবি করছেন যে লকেট চট্টোপাধ্যায়ও তাঁদের দলে নাম লিখিয়েছেন। এই আবহে শান্তনুর সঙ্গে তাঁর এই বৈঠক বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন লকেট। এদিকে উত্তরাখণ্ডের উধম সিংহ নগর জেলার তিন-চারটি বিধানসভা এলাকায় তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা বহু মতুয়া ভোটার রয়েছেন। এই আবহে সেখানে প্রচারে গিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। লকেটই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বনগাঁর সাংসদকে। প্রচারের ফাঁকেই রুদ্রপুর বিধানসভা এলাকায় একটি হোটেলে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় লকেট-শান্তনুর।
সম্প্রতি প্রকাশিত রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন একাধিক হেভিওয়েট নেতা। পুরোনো নেতাদের বদলে কমিটিতে এসেছে নতুন মুখ। যা নিয়ে আদি নেতারা মটোই খুশি নন। এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে শান্তনু ও কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীষ প্রামাণিককে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে। সেই বৈঠক ঘিরেও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আর এবার লকেট-শান্তনু বৈঠক ঘিরে তুঙ্গে জল্পনার পারদ।