ছত্তিশগড়ে আজকে প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। আর আজ ভোটগ্রহণ শুরু হতেই রক্ত ঝরল সেখানে। মাওবাদী অধ্যুষিত সুকমা জেলায় একটি আইইডি বিস্ফোরণে জখম হলেন সিআরপিএফ-এর কোবরা ইউনিটের কমান্ডো। জানা গিয়েছে, আজ সিআরপিএফ এবং কোবরা ইউনিটের যৌথ একটি দল এলাকায় টহল দিতে বেরিয়েছিল। সুকমা জেলার তোন্ডামার্কা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এলমাগুন্ডা গ্রামের দিকে যাচ্ছিল তারা। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণটি ঘটে। জখম কোবরা কমান্ডোর নাম শ্রীকান্ত। (আরও পড়ুন: ইডেনের বাজিতে পেয়েছিল ভয়, মৃত্যু মাউন্টেড পুলিশের ৬ বছর বয়সি ঘোড়ার)
জানা গিয়েছে, ইন্সপেক্টর পদমার্যাদার কমান্ডো শ্রীকান্ত টহলের সময় ভুল বসত একটি আইইডি বিস্ফোরকের ওপর পা ফেলেন। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ ঘটে। যেখানে এই বিস্ফোরণ ঘটে, সেটি কোঁটা বিধানসভা অঞ্চলের অন্তর্গত। ৯০ আসনের ছত্তিশগড়ের ২০টি আসনেই আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে। আজকে মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার এলাকার প্রায় ৬০০ পোলিং স্টেশনে ভোটগ্রহণ চলছে। এই গোটা এলাকায় আজ ৪০ হাজার কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান এবং ২০ হাজার রাজ্য পুলিশের কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও মাওবাদীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে হেলিকপ্টার এবং ড্রোনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সদা প্রস্তুত রাখা হয়েছে একটি বোমা ডিজপোজাল টিমকেও।
আরও পড়ুন: 'নিজের আত্মাকে খুঁজে বের করুন', বিল সই না করা নিয়ে রাজ্যপালদের বার্তা SC-র
এর আগে গত সপ্তাহে পুলিশের চর সন্দেহে তিন গ্রামবাসীকে খুন করেছিল মাওবাদীরা। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সুকমার একাংশ, বীজাপুর, নারায়ণপুর, কঙ্করের একাংশে এখনও দাপট রয়েছে মাওবাদীদের। জনতার সরকারের নাম করে তারা এলাকার শাসনতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। এই আবহে বস্তারের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়ে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে আজকে ২০টি বিধানসভা আসনের সব বুথেই রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এদিকে গতকাল ভোটগ্রহণের একদিন আগে ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। কঙ্কর এলাকার একটি বুথে বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। সেই হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর এক জওয়ান এবং দুই ভোটকর্মী জখম হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, আহত বিএসএফ জওয়ানের নাম প্রকাশ চাঁদ। তাঁকে ছোটেপেটিয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওদিকে ভোট কর্মীদের আঘাত অতটাও গুরুতর ছিল না বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।