রাত পোহালেই ২০২২ হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতে চলেছে। পাহাড়ি উপত্যকায় গত ১২ নভেম্বর সংগঠিত হওয়া ভোটগ্রহণের পর রাজনৈতিক পাল্লা কোনদিকে ভারী থাকে সেদিকে তাকিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহল। এদিকে, ফলপ্রকাশের আগের রাতে কংগ্রেস তার ৩০ জন কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে।
জানা গিয়েছে, মূলত, সিমলা থেকেই বেশিরভাগ কংগ্রেস কর্মী দল থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। বহু জেলার ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্যায়ের নেতারা এই কোপের মধ্যে পড়েছেন। কংগ্রেসের রাজ্য প্রধান প্রতিভা সিং এই সদস্যদের বিতাড়িত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
প্রতিষ্ঠান বিরোধি ভোট নাকি ফের একবার শাসক দলেই ভরসা? হিমাচল প্রদেশের ভোটাররা নিজেদের মতামত কোনদিকে রেখেছেন তা ৮ ডিসেম্বরের ভোট গণনা বলে দেবে। ১৯৮৫ সালের পর থেকে শাসকদলের পালা বদলের ধারা দেখা গেলেও, কেন্দ্রে মোদী সরকার আসার পর থেকে হিমাচলে রাজনৈতিক ঘরানা পাল্টেছে। উল্লেখ্য, ৬৮ আসনের হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ৩৫ টি আসন হল ম্যাজিক ফিগার। যা পার করলেই যে কোনও রাজনৈতিক দল তখতে বসার যোগ্য হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গুজরাটের বিধানসভা ভোটের ফলাফলে শেষ হাসি কার? কিছু রাজনৈতিক অঙ্ক একনজরে
এক্সিট পোল কী বলছে?
হিমাচল প্রদেশ ঘিরে দেশের বেশিরভাগ এক্সিট পোলই বলছে, বিজেপি সেখানে শেষ হাসি হাসতে চলেছে। তবে হিমাচলে এই বছর কংগ্রেস ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেও আভাস মিলেছে বহু এক্সিট পোলে। এই বুথ ফেরত সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, বিজেপির সম্ভবত ৩০ থেকে ৩৯ টি আসন পেতে পারে, কংগ্রেস পেতে পারে ২০ ছেকে ২৮ টি আসন। মাঝে অন্য দলের সেভাবে পা রাখার সম্ভাবনা কম।
২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল
২০১৭ সালের শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪৪ টি আসন জিতেছিল। কংগ্রেস সেবার ২১ টি আসনে জয়ী হয়। একটি আসন গিয়েছিল সিপিআইএমের কাছে। শতাংশের বিচারে ২০১৭ সালের ভোট শেয়ার দেখলে দেখা যাবে,কংগ্রেস পেয়েছিল ৪১.৭ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৪৮.৮ শতাংশ ভোট, বাকিরা পেয়েছিল ৯.৫ শতাংশ ভোট। মনে করা হচ্ছে, সেই তুলনায় কংগ্রেসের ভোট শেয়ার এই বছর বাড়তে পারে, যেখানে বিজেপির ভোট শেয়ার সামান্য কমে যেতে পারে ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোট