২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন শুরু ১৯ এপ্রিল। সাত দফার নির্বাচনে দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদান শেষ ১ জুন। ভোটগণনা ৪ জুন। ভারতের পার্লামেন্ট বা সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা নামে পরিচিত। প্রতি পাঁচ বছরে লোকসভায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ২০২৪ সালের ভোট হল দেশের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। দেশের ২৮টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ঘিরে রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারি।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কতগুলি আসন? জম্মু ও কাশ্মীরে ৬টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। দিল্লিতে ৭টি (সংরক্ষিত আসন ১টি)। পুদুচেরিতে ১টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। লাক্ষাদ্বীপে ১টি (এটি সংরক্ষিত আসন)। চণ্ডীগড়ে ১টি (সংরক্ষিত আসন নেই)। দাদরা ও নগর হাভেলিতে ১টি (আসনটি সংরক্ষিত)। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ১ টি ( আসন সংরক্ষিত নেই)। দমন ও দিউতে ১টি (সংরক্ষিত নেই)।
পশ্চিমবঙ্গে ৭ দফায় লোকসভা নির্বাচনের কেন্দ্র অনুযায়ী রইল তালিকা- বাংলায় প্রথম দফার ভোটের তারিখ ১৯ এপ্রিল। এই দফায় মধ্যে থাকা বাংলার আসনগুলি হল-কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি। দ্বিতীয় দফার ভোট ২৬ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার মধ্যে থাকা বাংলার কেন্দ্রগুলি হল-দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাট। ৭ মে তৃতীয় দফার ভোট। এই দফায় বাংলার কেন্দ্রগুলি হল- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ। চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের তারিখ ১৩ মে। এই দফায় থাকা বাংলার ৮টি লোকসভা কেন্দ্র হল- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান-পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর ও বীরভূম পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের তারিখ ২০ মে। এই দফায় কেন্দ্রগুলি হল- বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগ। ষষ্ঠ দফার ভোট ২৫ মে। এই দফাতেও থাকা ৮ টি কেন্দ্রের নাম হল -তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর। সপ্তম এবং শেষ দফার ভোটগ্রহণের তারিখ হল ১ জুন। দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ এবং কলকাতা উত্তর এই মোট ৯ আসনে শেষ দফার ভোট। অর্থাৎ সপ্তম দফাতেই বাংলার সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রে ভোট।
असम লোকসভা ভোটের ফলাফল
আরও দেখুন
বিজেপি+11
আইএনসি+3
এআইইউডিএফ0
অন্যান্য0
;
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: असम রাজ্যে মোট 14 আসন আছে। সেগুলির মধ্যে তফসিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত হল 1 আসন। তফসিলি উপজাতিদের সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা হল 2। असम রাজ্যে মোট 22050059 জন ভোটার আছেন। পুরুষ ভোটার হলেন 51.22 শতাংশ। মহিলা ভোটার হল 48.78 শতাংশ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে 9 আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস জিতেছিল 3 আসনে। অন্যরা জিতেছিল 14 আসনে। আরও দেখুন
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনও হয়েছিল ৭ দফায়। তখনও বাংলায় ৭ দফাতেই হয়েছিল নির্বাচন। এবারও বাংলায় ৭ দফাতেই ভোটগ্রহণ। এছাড়া, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারেও ৭ দফায় ভোটগ্রহণ। ২০২৪ সালের লোকসভায় কয়েকটি হেভিওয়েট কেন্দ্র দেখে নেওয়া যাক- এবারও উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে এই আসন থেকে পরপর দু'বার জয়ী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পরাজিত করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির শালিনী যাদব। সেবারও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ফলে এই আসনটির উপরেই সবচেয়ে বেশি নজর আমজনতা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদদের।
২০২৪-এর নির্বাচনেও গুজরাটের গান্ধীনগরের বিজেপি প্রার্থী অমিত শাহ। বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি গুজরাটের গান্ধীনগর আসনটি। ২০১৯ সালে এই আসন থেকেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে শুধু শাহ নয়, এর আগে এই আসনে একাধিকবার জয়ী হয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী। এমনকী এই আসনে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী।
অন্যদিকে, লখনউ থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন রাজনাথ সিং। এদিকে, ২০১৯ সালে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আমেঠিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। তাই ২০২৪ সালেও দল তাঁকে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে। চব্বিশের লোকসভায় কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, কেসি ভেনুগোপাল, ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল প্রমুখ।
বাংলার নজরকাড়া কয়েকটি আসন- ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলার গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল উত্তর কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার, বহরমপুর, ঘাটাল, তমলুক, কৃষ্ণনগর, বসিরহাট, মালদা উত্তর প্রভৃতি। ২০২৪ সালেও কলকাতা উত্তর থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে তৃণমূল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করা হয় তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া নেতা তাপস রায়কে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন বিজেপি প্রার্থীকে ১.২৭ লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত করছিলেন।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে এবারও তৃণমূলের প্রার্থী দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকে এবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বিপক্ষে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। সিপিএমের প্রার্থী আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে চব্বিশের নির্বাচনে ফের কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। এছাড়াও, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হল বহরমপুর। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বহরমপুর। ১৯৯৯ সাল থেকে সেখানে টানা সাংসদ রয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর বিপক্ষে এবার তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয় প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। ফলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখ্যযোগ্য হল এই আসনটি। এদিকে, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হল বসিরহাট। সম্প্রতি, সন্দেশখালি ইস্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে উঠেছিলও রাজ্য রাজনীতি। সন্দেশখালির আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ সেই রেখা পাত্র এবার বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের জন্য মোট ভোটারের সংখ্যা হল ৯৭ কোটি। ভোট গ্রহণের জন্য বুথের সংখ্যা হল ১০.৫ লাখ। এছাড়াও, চব্বিশের লোকসভায় ইভিএমের সংখ্যা ৫৫ লাখের বেশি। সবমিলিয়ে ভোটের কাজে নিযুক্ত ১.৫ কোটি বুথকর্মী এবং সুরক্ষা বাহিনী ও আধিকারিকরা।
ভোটের কুইজ
এবার বাংলায় কোন দফায় সবথেকে বেশি আসনে ভোটগ্রহণ?
সপ্তম দফায়, ১ জুন ভোটগ্রহণ। ন'টি আসনে ভোটগ্রহণ।
অমিত শাহের আসনে একাধিকবার জিতেছিলেন দেশের এক প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী, কে তিনি?
লালকৃষ্ণ আডবানি জিতেছিলেন।
২০১৪ সালে একজনকে হারিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী, যিনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কে তিনি?