সামনে লোকসভা ভোট। তার আগে একেবারে হাতেগরম ইস্যু সন্দেশখালি। তবে অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছে সন্দেশখালির ঘটনা। কিন্তু অত সহজে সন্দেশখালিতে ছেড়ে দিতে চাইছে না বিজেপি। সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত একেবারে টানা কর্মসূচি রাজ্য বিজেপির।দেশ জুড়েও নানা কর্মসূচি। এই ইস্যুতে প্রধান বিষয় হল সন্দেশখালি। এদিকে সেই কর্মসূচির মধ্য়েই রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সভা। সেক্ষেত্রে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শেষ পর্যন্ত এই সন্দেশখালি ইস্যুতে কতটা সুর চড়ান সেটাও দেখার।
বারাসতে নরেন্দ্র মোদীর সভা। বুধবারের সেই সভাকে সফল করতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। সেই সভাকে সফল করার মূল দায়িত্ব পড়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চার উপর।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই দাবি করা হচ্ছিল যে সন্দেশখালি ইস্যুতে যে সমস্ত নির্যাতিতারা মুখ খুলেছিলেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সভায় থাকতে পারেন। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এনিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে অনেকেই মনে করছেন মুখ ঢেকে আসতে পারেন তাঁরা। আর এটা এবার বিজেপির কাছে বড় হাতিয়ার হতে চলেছে। সেই নিরিখে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য এই পদক্ষেপ।
তবে এর আগের বাংলার সভা থেকে সন্দেশখালি ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই নিরিখে এবার বারাসতে বিজেপির সভা। আর সেই সভা থেকে সন্দেশখালি ইস্যুতে আর কোন প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী সেদিকেই তাকিয়ে আছে গোটা বাংলা।
তবে সন্দেশখালি ইস্যুতে এবার একেবারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি। একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। একাধিক কর্মসূচি। রান ফর মোদী শীর্ষক ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে। মহিলাদের নিয়ে বাইক মিছিলও হবে মঙ্গলবার। সব মিলিয়ে সন্দেশখালি ইস্যুতে. বাংলার নারীদের সুরক্ষার দাবিতে প্রচুর বিধানসভা এলাকায় হবে মিছিল। সব মিলিয়ে ৫,২৫৭টি জায়গায় মহিলাদের সংগঠিত করে নানা ধরনের কর্মসূচি করা হবে।
তবে এবার গোড়া থেকেই সন্দেশখালি ইস্যুতে সুর চড়াতে শুরু করেছিল বিজেপি। একাধিক বার বিজেপির প্রতিনিধিদল সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। সেক্ষেত্রে এবার লোকসভা ভোটের মুখে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই সন্দেশখালি ইস্যু। তবে শেষ পর্যন্ত এই সন্দেশখালি ইস্যু কতটা এগিয়ে দিতে পারে বিজেপিকে সেটাও দেখার।
গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ শাহজাহানকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখনও কি সন্দেশখালির মহিলাদের ক্ষোভ কমেছে? বুকের মধ্য়ে জমে থাকা ক্ষোভই কি এবার মহিলারা বলবেন মোদীর সভায়?