বিজেপির সাংগঠনিক বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল দলের জাতীয় কাউন্সিলের বৈঠকে। রবিবার দলের সংবিধানে সংশোধনী আনা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচন বা এই ধরনের কোনও 'জরুরি পরিস্থিতিতে' দলের সভাপতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুদায়িত্ব এবার দেওয়া হল বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের কাঁধে। দলের সভাপতির মেয়াদ বৃদ্ধির মতো সিদ্ধান্তও নিতে পারবে বিজেপির সংসদীয় বোর্ড। উল্লেখ্য, দলের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ইউনিট হল এই সংসদীয় বোর্ড। এদিকে বিজেপির সংবিধানে এই সংক্রান্ত সংশোধনী আনতে প্রস্তাব এনেছিল দলের সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। (আরও পড়ুন: আধার নিষ্ক্রিয়তার চিঠি পেলে কী করতে হবে? কোথায় মিলতে পারে সমাধানসূত্র?)
আরও পড়ুন: এবার রাজ্যে LPG সিলিন্ডারের 'আকাল', সময়ে গ্যাস না পেয়ে সমস্যায় গ্রাহকরা
প্রসঙ্গত, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে জেপি নড্ডার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বিজেপির জাতীয় কাউন্সিলের বৈঠকে। আগামী জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে তাঁর মেয়াদ। অর্থাৎ, আপাতত লোকসভা নির্বাচনের সময় নড্ডার হাতেই থাকবে দলের রাশ। দলের জাতীয় কাউন্সিল সেই মেয়াদ বৃদ্ধিতে শিলমোহর দিয়েছে। এরই পাশাপাশি জেপি নড্ডাকে স্বাধীনভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এই আবহে ভোটের কয়েকদিন আগে দলের সভাপতি পরিবর্তন করা হলে, সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তাই নড্ডাতেই আপাতত ভরসা বজায় রাখলেন মোদী-শাহরা।
উল্লেখ্য, দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে বেছে নেওয়া হয় সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে। রাজ্য সংগঠনগুলির মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ ইউনিটের নির্বাচন সংগঠিত হওয়ার পরে জাতয় সভাপতি বেছে নেওয়ার নির্বাচন হয় সেই ক্ষেত্রে। এদিকে রাজ্য ইউনিটগুলির ওপর দায়িত্ব থাকে যাতে জেলা স্তরে সাগঠনিক নির্বাচন সংগঠিত হয়। তবে লোকসভা ভোটের আগে দলের অভ্যন্তরে সাংগঠনিক নির্বাচন করানো বেশ কঠিন বিষয়। এই আবহে সেই ঝামেলার মধ্যে না গিয়ে নিজেদের সংবিধান সংশোধন করার পথে হাঁটল বিজেপি। তবে নড্ডার মেয়াদ বৃদ্ধির পরেও কেন সংসদীয় বোর্ডের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সংধোন করা হল দলীয় সংবিধান? এই বিষয়ে বিজেপির তরফ থেকে সরকারি ভাবে কোনও কিছু খোলসা করে বলা হয়নি। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আগেভাগেই এই ধরনের সংশোধনী নিয়ে আসা হয়েছে দলের সংবিধানে।
এদিকে রবিবার বিজেপি শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলকে ৩৭০টি আসনে জেতানোর লক্ষ্যে রূপরেখা তৈরির পরিকল্পনা করা হয় সেই বৈঠকে। জানা গিয়েছে, গত নির্বাচনে যে প্রায় ১৬০ আসনে বিজেপি হেরেছিল, সেই আসনগুলির ওপরে বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে দলের অভ্যন্তরে।