গত ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে মধ্যপ্রদেশের মসনদে বসিয়েছিলেন কমল নাথ। নিজে হয়ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অবশ্য ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই রাজ্য থেকে হাত শিবির ভালো ফল করতে পারেনি। শুধুমাত্র ছিন্দওয়ারা আসন থেকে কমলের ছেলে নকুল নাথ কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। পরে অবশ্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলত্যাগের পর কমল নাথের সরকার পড়ে যায়। আর ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে বড় ব্যবধানে হারে কংগ্রেস। এই সব কিছু মিলিয়ে নাকি কমল নাথর প্রতি 'রুষ্ট' কংগ্রেস হাই কমান্ড। আর সম্প্রতি রাজ্যসভার টিকিট না পেয়ে কমল নাথ নিজেও 'বিদ্রোহী' হয়ে উঠেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত কমল নাথ দাবি করেছিলেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না, কংগ্রেসের টিকিটেই লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন। তবে তাঁর সেই আশ্বাসবাণী সত্ত্বেও ফের নতুন করে কমলের কংগ্রেস ত্যাগের জল্পনা তীব্র হল। (আরও পড়ুন: আসন ভাগাভাগি নিয়ে জটিল অঙ্ক, এবার শিন্ডে আর অজিত পাওয়ারের দল 'ভাঙাবে' BJP?)
আরও পড়ুন: সব শত্রুতা ভুলে জোট চর্চায় শাসক-বিরোধী! মোদী-নবীন রসায়নে খেলা ঘুরবে ওড়িশায়?
রিপোর্ট অনুযায়ী, ছিন্দওয়ারা অঞ্চলের যে ৭টি বিধানসভা আসনে কংগ্রেস জিতেছে, সেখানকার একজনও বিধায়ক রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় যোগ দেননি। এই সাতজন বিধায়কেরই একজন কমল নাথ নিজেও। এই আবহে ফের একবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলবদলের সম্ভাবনার কথা সামনে আসতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, বুধবার রাহুল গান্ধীর যাত্রা বাদনাওয়ারে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে ছিন্দওয়ারা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতি আশা করা হয়েছিল। তবে সেখানকার সাংসদ নকুল নাথ এবং কংগ্রেসের ৭ বিধায়ক রাহুলের যাত্রায় অংশ নেননি। এদিকে মঙ্গলবারই ছিন্দওয়ারার ৭ জন কংগ্রেস কর্পোরেটর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিকে রাজ্যের ২৯টির মধ্যে ২৪টি আসনের প্রার্থী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে বিজেপি। যে পাঁচটি আসনের প্রার্থী এখনও ঘোষণা করা হয়নি, উল্লেখযোগ্য ভাবে তার মধ্যে একটি হল ছিন্দওয়ারা। (আরও পড়ুন: 'গুজরাট কি পাকিস্তান নাকি…', মোদীর রাজ্য নিয়ে কেন এমন মন্তব্য করলেন ফড়নবীস?)
আরও পড়ুন: বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিতে ৬৫ বেসিস পয়েন্টের 'লোকসান', এবার সেই ফারাক মেটাবে রাজ্য?
অবশ্য এর আগে উজ্জয়িনীতে মহাকাল মন্দিরে রাহুলের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কমল নাথকে। রাহুলের যাত্রায় অংশ না নেওয়ার বিষয়ে কমল নাথ দাবি করেন, তিনি দলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে ছিলেন। তবে সাংসদ নকুল নাথ এবং সেই অঞ্চলের বাকি ৬ বিধায়ক কেন রাহুলের যাত্রায় যোগ দিলেন না? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এদিকে মধ্যপ্রদেশে রাহুলের যাত্রা শেষ হলে তিনি সেই রাজ্যে কংগ্রেসের ৬৬ জন বিধায়কের সঙ্গেই বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই আবহে সেই বৈঠকে কেউ অনুপস্থিত থাকেন কি না, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। এদিকে রাহুলের যাত্রায় ছিন্দওয়ারা অঞ্চলের বিধায়কদের অনুপস্থিতির বিষয়টি লঘু করেই দেখাতে চেয়েছেন কমল নাথ। তিনি দাবি করেন, ছিন্দওয়ারা ছাড়া আরও বেশ কিছু এলাকার বিধায়করা রাহুলের যাত্রায় অংশ নিতে পারেননি বিভিন্ন কারণে। এরপর নিজের বিজেপি যোগ নিয়ে কমল নাথ বলেন, 'এটা মিডিয়ার জল্পনা।'