প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি বৃহস্পতিবার দিল্লিতে মিটিংয়ে বসার কথা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে তারা সমস্ত লোকসভা আসনের অন্তত এক তৃতীয়াংশ আসনের কে কোথায় দাঁড়াবেন, অর্থাৎ প্রার্থী তালিকায় একটা অংশ তাঁরা চূড়ান্ত করে ফেলবেন। শুক্রবার প্রথম তালিকা প্রকাশ পেতে পারে বিজেপির তরফে। এনিয়ে নানা কানাঘুষো চলছে। এমনকী লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণার আগেই তারা একাধিক আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিতে পারে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।
মোদী ছাড়াও সেই তালিকায় অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, বিএস ইয়েদুরিয়াপ্পা থাকতে পারেন।
গোটা বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এমন এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, প্রথম তালিয়া দক্ষিণভারতের বেশ কিছু আসন থাকতে পারে। এত আগে দিন ঘোষণার একটা বড় কারণ হল যে যাতে তারা নির্বাচনে লড়ার মতো জমি তৈরি করার জন্য় অনেকটা সময় পান। এটা আসলে মধ্যপ্রদেশের কৌশল। সেখানে বিজেপি অন্তত ৩৯টি আসনে তিন মাসের বেশি সময় আগে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে ফেলেছিল। এতে কঠিন আসনে তাদের লড়াই করতে সুবিধা হয়েছে।
এদিকে কোন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবার ভোটে লড়বেন তা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও এস জয়শঙ্কর আগামী ভোটে লড়তে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রহ্লাদ যোশী। পরে তিনি অবশ্য জানান, আমি শুধু এটাই বলেছিলাম যে কেউ ভোটে লড়তে পারেন। আমি কারোর নাম উল্লেখ করিনি। এটা সর্বভারতীয় দল। এখানে নেতৃত্বরাই ঠিক করেন সব কিছু।
এদিকে ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্বলপুর বা ওড়িষার ঢেঙ্কানল থেকে লড়তে পারেন। ভূপেন্দ্র যাদব হরিয়ানা থেকে লড়তে পারেন। হরদীপ পুরী মনে হয় দাঁড়াবেন না। কারণ উচ্চকক্ষে তিনি এখনও দু বছর থাকবেন।
এদিকে বিজেপি কঠোরভাবে একটা নিয়ম পালন করছে যে রাজ্যসভায় দুবারের বেশি কাউকে টিকিট দেওয়া হবে না। তবে কেবলমাত্র জেপি নড্ডা, অশ্বিনী বৈষ্ণব, এল মুরুগান, সুধাংশু ত্রিবেদীর ক্ষেত্রে আবার নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যসভায় নতুন মুখ আনার উপরেও জোর দিচ্ছে বিজেপি। যাতে নতুন প্রজন্ম এখানে আসতে পারেন তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অন্যদিকে সহজ আসন থেকে যারা তিনবার লোকসভার আসন জিতেছেন তাঁদের অন্য় আসন থেকে লড়ানোর ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে।