এবারও ভোট প্রচারে বড় ইস্যু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। দেওয়ালে দেওয়ালে তৃণমূলের প্রচারে জ্বলজ্বল করছে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা। এদিকে এবার ইসলামপুরে নির্বাচনী সভা থেকে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ তুললেন মমতা।
তিনি বলেন, ‘বিজেপির এত বড় সাহস। আজ বলছে তিনমাস বাদে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাদ দিয়ে দেব। আমি বলছি কে রে হরিদাস। হরিদাস নম্বর ১। বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব। সাহস থাকলে দেখাক। জানে মায়ের আঁচলের কত দাম। এটা মমতা ব্যানার্জির ওয়াদা…এটা মমতা ব্যানার্জি মা বোনেদের জন্য করেছে। যত দিন বাঁচবেন ততদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। বিজেপিকে দেখলে বলবেন ছিঃ বিজেপি ছিঃ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কাড়তে এসেছ।..এনআরসি করতে গিয়ে কত মানুষ মারা গিয়েছে। যোগী আসছেন এখানে কথা বলতে। আর উত্তরপ্রদেশে কাউকে কথা বলতে দেয় না। আগে নিজের রাজ্য সামলাও। জিজ্ঞেস করুন বিজেপি বাবুদের। এই মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি রাজ্যসভার সদস্য করেছিলাম। কিন্তু জানতাম না ও এত বড় গদ্দার। শুধু নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য। রাতারাতি গদ্দার হয়ে গেল। যারা দো-আঁশলা, যারা জীবন যুদ্ধে লড়তে ভয় পায়, যারা জীবন যুদ্ধে লড়তে ভয় পায় না তাদের আমি মানুষ বলে মনে করি। ’
তিনি বলেন ‘কালিয়াগঞ্জ বালুরঘাট কে করেছিল, বালুরঘাট হিলি রেললাইন কে করেছিল আমি করেছিলাম। কাটিহার-রাধিকাপুর কে করেছিল আমি করেছিলাম।’ এরপর একাধিক রেলের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন তিনি।
এদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিঃসন্দেহে এবার তৃণমূলের কাছে বড় ব্যাপার। সভা সমিতি, প্রচারে, দেওয়ালে সর্বত্র এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রচার। গ্রামে গ্রামে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা লক্ষ লক্ষ মহিলার মন জয় করে নিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দিতে চাইছে বলে পালটা বলতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে এবারের ভোটেরও অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি হল এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। সেক্ষেত্রে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপর ভর করে মহিলা ভোটকে কতটা এককাট্টা করতে পারে তৃণমূল সেটাও দেখার।