রাজস্থানে নির্বাচনী জনসভা থেকে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তিনি রাজস্থানের মন্দির ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। মোদীর দাবি, মন্দির ভেঙে মহাপাপ করেছে কংগ্রেস। এরজন্য কোনও ক্ষমা নেই। এর পাশাপাশি রামমন্দির ও রমনবমীর প্রসঙ্গ তুলেও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলি সনাতন ধর্মকে নষ্ট করতে চাইছে। রাজস্থানের কারাউলিতে একটি জনসভার আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি এসমস্ত বিষয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: '২০১৪ থেকে ২০২৪ তো স্টার্টার ছিল, এবার মেন কোর্স আসবে', ইঙ্গিতবহ মন্তব্য মোদীর
কী বলেছেন নরেন্দ্র মোদী?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৬০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকাকালীন কংগ্রেস অনেক পাপ করেছে। তার তালিকা অনেক লম্বা। তবে রাজস্থানে কংগ্রেস যেটা করেছে সেটা হল মহাপাপ। এর কোনও ক্ষমা হয় না, কোনও প্রায়শ্চিত্ত হয় না। এই মহাপাপ হল-রাজস্থানের সম্মান এবং পরিচয়ের সঙ্গে খেলা করা।’ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘কংগ্রেস রাজস্থানের ভোট ব্যাঙ্কের জন্য তুষ্টিকরণের নোংরা খেলা করেছে। নিজেদের তুষ্টিকরণ এবং দুর্নীতির জন্য কংগ্রেস মন্দির ভেঙে জমি দখল করেছে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, কংগ্রেস শাসনকালে ‘রাজস্থানে রামনবমীর শোভাযাত্রায় পাথর বর্ষণ করা হতো।’
এ প্রসঙ্গে রাম মন্দির নিয়েও কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, ‘যেখানে ৫০০ বছর পর রাম মন্দির তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার ভক্তের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সেই রাম মন্দির নিয়েই কংগ্রেস নেতারা অনেক নোংরা ভাষা বলেছেন। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমালোচনা করেছে।’ শুধু তাই সনাতন ধর্ম নিয়েও তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলি সনাতন ধর্মকে নষ্ট করার কথা বলছে। আর কংগ্রেস তাদের সমর্থন করছে। কংগ্রেসের এই পাপ সমর্থন করার যোগ্য নয়। কংগ্রেস যা করেছে, তারজন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে।’ ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী আর্জি, ‘ভোট দানের সময় আপনারাই কংগ্রেসকে শাস্তি দিতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, এর আগের দিন উত্তরাখণ্ডে একটি জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রে একটি শক্তিশালী সরকার গঠনের দাবি করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘দেশে যখনই আমাদের দুর্বল সরকার হয়েছে আমাদের শত্রুরা সুবিধা নিয়েছে। তবে শক্তিশালী মোদী সরকার সন্ত্রাসবাদীদের ঘরে ঢুকে আক্রমণ করে। আজ তিরঙ্গা যুদ্ধক্ষেত্রে নিরাপত্তার গ্যারান্টি হয়ে উঠেছে।