দলীয় প্রার্থী হয়ে প্রচারে বেরিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকে প্রচারে লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি বলেন, জিতে যাওয়ার পর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা আর মানুষের কাছে যায় না। গেলে তাঁদের কাজ করাটা আরও সহজ হতো। তাঁর এই বেঁফাস মন্তব্য অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।
এদিন মন্ত্রী বলেন, 'পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা জিতে যাওয়ার পর আর বুথেও যায় না, মানুষের কাছেও যায় না। তাঁরা যদি এই কাজটা করতেন, তাহলে আমরা যারা এমএলএ আছি, তাদের কাজটা সহজ হত।' কার্যত তিনি দলীয় নেতাকর্মী থেকে পঞ্চায়েত সদস্যেদের তিনি কাঠগড়ায় তোলেন। তাঁর বক্তব্য, 'নেতা হওয়ার জন্য জেলা অফিস বা ব্লক অফিসে পড়ে থাকলে হবে না। হাতে মাত্র ২ মাস সময়। এই কদিন নিজের বুথে ও অঞ্চলে পড়ে থাকুন। মানুষের সঙ্গে কথা বলুন।'
আরও পড়ুন। আরও ৪ আসনে প্রার্থী CPIM-র, টিকিট সেলিমকে, জোটের জটের জন্য ISF-কে দুষলেন বিমান
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়ে একই অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথাও অঞ্চল সভাপতি, কোথাও আবার পঞ্চায়েত প্রধানকে সরিয়ে দেন তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শুধু ভোটে জিতে প্রধান বা অঞ্চল সভাপতি হলে হবে না। মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের সমস্যার কথা শুনতে হবে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট কেটে যাওয়ার পর প্রায় এক বছর হতে চলল, তবু অবস্থার যে খুব একটা বদল হয়নি তা মন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল।
আরও পড়ুন। কলকাতা পর এবার কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রের দফতরে সিবিআই হানা, সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী
মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার জ্যোস্না মান্ডির এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।