কোথাও লালুপ্রসাদ যাদব আছেন, আর সেখানে হাসির রোল উঠবে না? সম্ভবত কোনওদিন এরকম হবে না। ব্যতিক্রম হল না বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'-র সাংবাদিক বৈঠকেও। যে সাংবাদিক বৈঠকের আগেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা প্রাথমিকভাবে জানতেন না লালু। নিজের ভাষণের মধ্যেই মমতার কথা বলতে গিয়ে লালু জানতে পারেন যে তৃণমূল সুপ্রিমো ইতিমধ্যে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। চলে গিয়েছেন তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকের নেতা টিআর বালুও। তা শুনে হাসতে-হাসতে লালু বলেন, সবাই যখন চলে গিয়েছেন, ‘আমিও চলে যাই। আমি কেন পিছিয়ে থাকব?’
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল? মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী নেতারা। তবে সেই হাইপ্রোফাইল বৈঠকের পরে যে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়, সেটার আগেই রওনা দেন মমতা। সেই বিষয়টি লালু জানতেন না। জীর্ণ শরীরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ (২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা) শানানোর মধ্যেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দিদি- মমতা দিদিও এখানে বসে আছে।’
সেইসময় লালুর পাশ থেকে কেউ একজন বলে ওঠেন, মমতা চলে গিয়েছেন। তাতে লালু বলেন, 'চলে গিয়েছে?' তাতে কয়েকজন 'হ্যাঁ' বলার পর লালু বলতে শুরু করেন, ‘ওই সময় যে নেতারা ছিল, আমাদের যারা সঙ্গী ছিল….বালুজিও (টিআর বালু) চলে গিয়েছে?’ তখন আশপাশ থেকে কয়েকজন বলে ওঠেন, বিমান আছে মমতাদের। তাই তাঁরা চলে গিয়েছেন। তা শুনে একেবারে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় লালু বলেন, ‘আমারও উড়ান আছে (হাসিতে ফেটে পড়েন)। আমি কেন পিছিয়ে থাকব? আমিও চলে যাই (জোরে জোরে হাসতে থাকেন)। বিমানের সময় এসে গিয়েছে।’
তারইমধ্যে মোদীকে আক্রমণ শানিয়ে লালু বলেন, ‘এখন খুব জয়জয়কার হচ্ছে। হওয়াও উচিত। বিজ্ঞানীদের জয়জয়কার হওয়া উচিত। চন্দ্রযান-৩ মিশনের মাধ্যমে আমাদের দেশকে গর্বিত করেছেন (ইসরোর) বিজ্ঞানীরা। আমি শুনলাম, মোদীজি এবার ভাবছেন যে ……..। সেজন্য লোকসভার জরুরি অধিবেশনও ডেকে নিয়েছেন।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে তথা দেশের বিজ্ঞানীদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি যে মোদীজিকে সূর্যে পৌঁছে দিন। চাঁদে দরকার নেই।'