গতকালই ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হয়েছিল ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তবে সেই বৈঠরে যোগ দেননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে গতকালকের বৈঠকে নীতীশ কুমারকে ইন্ডিয়া জোটের আহ্বায়কের পদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে নীতীশ সেই পদ গ্রহণ করেননি। এই আবহে বিজেপি ইন্ডিয়া জোটকে খোঁচা মারতে ছাড়ছে না। এই সবের মাঝেই এবার জোট নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। শরদ পাওয়ার জানিয়ে দেন, জোটের মুখ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গীদের মধ্যে কোনও মতপার্থক্য নেই। শরদ জানান, নীতীশকে জোটের আহ্বায়ক করার প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি পালটা বলেন, জোটের দলগুলির প্রধানদের নিয়ে একটি দল গঠন করা উচিত কোনও একজনকে আহ্বায়ক না করে। (আরও পড়ুন: ‘আহ্বায়ক ইস্যুতে মমতার অবস্থান স্পষ্ট’, নীতীশের পদ প্রত্যাখ্যানের পর বলল তৃণমূল)
আরও পড়ুন: 'তাইওয়ানের স্বধীনতার পক্ষে নই', চিন বিরোধী দলের জয়ের পরই বললেন বাইডেন
শরদ পাওয়ার বলেন, 'বৈঠকে অনেকেই দাবি করেন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে জোটের প্রধান করা উচিত। সেই মতো ইন্ডিয়া ব্লকের সভাপতি করা হয় খাড়গেকে। এরপর নীতীশকে জোটের আহ্বায়ক বনানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তখন নীতীশ বলেন যে এখন আর আহ্বায়কের পদের প্রয়োজন নেই।' তবে কি লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটের 'মুখ' খাড়গে? এনসিপি প্রধান বলছেন, নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট কাউকে মুখ হিসেবে তুলে ধরার প্রয়োজন নেই। ফল প্রকাশ হোক, তারপর জোটের মুখ বেছে নেওয়া হবে। এই আবহে তিনি ১৯৭৭ সালের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, 'মোরারজি দেশাইকে প্রথমে জোটের মুখ হিসেবে তুলে ধরা হয়নি। বর্তমানে সব বিরোধী দল যে একসঙ্গে এগিয়ে এসে জোট করেছে, এটাই তো ইতিবাচক বিষয়।'
আরও পড়ুন: মালেতে নিজের গড়েই কাটল নাক, মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ ভোটে হার মুইজ্জুর দলের
এর আগে গতবছর ডিসেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রস্তাব করেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গেকে যাতে জোটের মুখ করা হয়। সেই মতো খাড়গেকে জোটের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তবে যে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে খাড়গেকে বেছে নেওয়া হল, তাতে যোগই দেননি মমতা। তৃণমূল নেতারা এই বিষয়ে দাবি করেন, বৈঠকের বিষয়ে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় জানানো হয় মমতাকে। এদিকে আগে থেকেই শনিবার নিজের সূচি ঠিক করে রেখেছিলেন মমতা। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, 'সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দলগুলির মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে কি না। আর এই ক্ষেত্রে আমাদের দলের তরফ থেকে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।'
এদিকে এই গোটা বিষয় নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, 'ডুবন্ত জাহাজের ক্যাপ্টেন কেউই হতে চান না। যদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকত, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতে রীতি মতো ঝাঁপ দিতেন। তবে তিনি নিজে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান হওয়ার দৌড় থেকে সরে এসেছেন। এর থেকেই স্পষ্ট যে বিরোধীদের জয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। খাড়গেকে এখানে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে। নীতীশ কুমারও এই বিষয়টা বুঝেছেন।'