ভোটের মুখে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতাকে মমতার ফোন ফাঁস হতেই দলনেত্রীর হয়ে গলা ফাটাতে নেমে পড়েছে গোটা তৃণমূল নেতৃত্ব। বাদ নেই দলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। শনিবার তিনি দাবি করেন, দলের বলিষ্ঠ কর্মীরা কোনও কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে তাঁদের ফোন করতেন ইন্দিরা গান্ধী, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মতো নেতারা। মমতা ভুলটা কী করেছেন?
শনিবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন বেলায় প্রকাশ্যে আসে একটি অডিয়ো ক্লিপ। তাতে শোনা যায় নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পালের সঙ্গে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথোপকথন। সেখানে মমতা প্রলয়বাবুকে বলছেন, ‘আমাদের একটু সাহায্য করে দেও না’। মমতা প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে বিজেপি নেতা বলেন, দলের সঙ্গে বেইমানি করতে পারবেন না তিনি।
এই নিয়ে শনিবার সুব্রতবাবু বলেন, ‘দলের পুরনো বলিষ্ঠ কর্মীরা মান অভিমান করে দূরে সরে গেলে তাদের নেতৃত্বের ফোন করার মধ্যে কোনও অপরাধ নেই। আমি বহুবার অভিমান করে বাড়িতে বসে ছিলাম। তখন কখনও প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, কখনও ইন্দিরা গান্ধী লোক পাঠিয়েছেন আমার অভিমান ভাঙানোর জন্য। একজন নিষ্ঠাবান কর্মী যদি অন্য জায়গায় চলে যায় তাহলে কি নেত্রী তাঁকে ফোন করে দলে ফেরার অনুরোধ করতে পারেন না?’
সুব্রতবাবুর এহেন যুক্তিতে বিজেপির পালটা প্রশ্ন, ‘বসে যাওয়া দলীয় কর্মী আর অন্য দলে যোগদানকারী দলীয় কর্মীর মধ্যে ফারাক রয়েছে। আর যে কর্মী এতই বলিষ্ঠ তাঁকে ভোটগ্রহণের ৫ দিন আগে কেন মনে পড়ল তৃণমূলনেত্রীর। ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে এই ধরণের ফোনকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চেষ্টা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না।’