মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাংলার বাঘিনী’ বললেন ভারতে নিযুক্ত প্রাক্তন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আবদুল বসিত। আরব নিউজ নামে একটি প্রকাশনায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা লিখেছেন তিনি। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ভারতে বিজেপির বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াই লড়ছেন তিনি। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দিদি’ বলেও প্রতিবেদনে সম্মোধন করেছেন তিনি।
২০১৪-র মার্চ থেকে ২০১৭-র অগাস্ট পর্যন্ত ভারতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন বসিত। তিনি লিখেছেন, এর মধ্যে আমি ২ বার কলকাতায় যাই। একবার ২০১৫-র মার্চে আরেকবার ২০১৬-র মার্চে ভারত - পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। প্রথমবার কলকাতায় গিয়ে ১৮ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি সেই সাক্ষাত কোনও দিন ভুলবো না। দিদি শুধু তাঁর অনাড়ম্বর উপস্থিতি দিয়েই আমার মনে প্রভাব ফেলেননি, সঙ্গে তাঁর ক্ষুরধার রাজনীতি আমাকে প্রভাবিত করেছে’।
বসিত লিখেছেন, ‘তখন কাশ্মীরি নেতাদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ নিয়ে ভারত – পাকিস্তানের সম্পর্কে শীতলতা চলছে। সেই ব্যাপারটি আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে বলেছিলাম। বলেছিলাম যে আগে অটল বিহারী বাজপেয়ীর জমানায় এই ধরণের বৈঠক সরকারই আয়োজন করতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কথা মন দিয়ে শুনলেও মোদীর বিরুদ্ধে একটা শব্দ উচ্চারণ করেননি। এমনকী বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা এগিয়েও নিয়ে যাননি। যদিও তাঁর সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক কখনোই তেমন ভাল নয়।’
প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত লিখেছেন, ‘বৈঠকের পর মমতা আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি কলকাতার সেরা মটন বিরিয়ানি খেয়ে দেখেছি কি না। আমি তাঁকে জানাই সেই সুযোগ হয়নি। তিনি তখন তাঁর দফতরের এক কর্মীকে ডেকে রাতে আমার হোটেলে মটন বিরিয়ানি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আমি তাঁর এই সৌজন্যে মুগ্ধ হয়ে যাই।’
বসিতের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেতা উচিত। তিনিই সম্ভবত ভারতের একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি বিজেপির বিরুদ্ধে সত্যিকারের লড়াই লড়ছেন। কংগ্রেস ভারতে তার পায়ের তলার মাটি হারিয়ে ফেলেছে। নেতৃত্বের সংকটের জন্য তাদের ভবিষ্যতও খুব একলা আলকোজ্জ্বল মনে হয় না।