গোসাবা
এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জয়ন্ত নস্কর। এই আসনে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী চিত্ত (বরুণ) প্রামাণিক। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন আরএসপির অনিলচন্দ্র মণ্ডল। এই বিধানসভা কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।
প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই রাজ্যের জেলা। জেলার সদর আলিপুরে। গোসাবা এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই জেলার উত্তরদিকে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব দিকে বাংলাদেশ, পশ্চিম দিকে হুগলি নদী ও দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে।
গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ১ এপ্রিল সেখানে ভোটগ্রহণ হবে। কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।এই বিধানসভা কেন্দ্রটি গোসাবা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, মসজিদবাটি ও চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি বাসন্তী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রটি জয়নগর (তফসিলি জাতি) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯০,৭১৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন আরএসপি প্রার্থী উত্তমকুমার সাহা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭১,০৪৫৷ ১৯,৬৮১ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন জয়ন্ত।
আরএসপির শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত এই কেন্দ্রে ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আরএসপি প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডল গোসাবা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ন্ত নস্করকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আরএসপির গণেশ মণ্ডল এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ২০০১ ও ১৯৯৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের সুজিত প্রমাণিককে পরাজিত করেছিলেন গণেশ। তাছাড়া ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের জিতেন্দ্রনাথ গায়েন, ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের প্রমীলা বিশ্বাস, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের সন্ধ্যাকর মণ্ডল ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের পরেশ বৈদ্যকেও পরাজিত করেছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের পরেশচন্দ্র বৈদ্য এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ এবং ১৯৯৬ সালেও গণেশ এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে ভারতীয় জনসংঘের জি.এন. মণ্ডল গোসাবা আসনে জয়ী হয়েছিলেন।