এবারই প্রথম নয়। বরাবরের জন্যই বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। মালদায় ভোট প্রচারে এসেও ফের সায়ন্তন বসুর মুখে কড়া ভাষণ। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই শীতলকুচিকাণ্ডের ফুটেজ প্রকাশ করা হোক। আমরা ভেদাভেদ চাই না। ইমাম বলে ভাতা দেবেন, ওবিসির মধ্যে মুসলমান সম্প্রদায়কে ঢুকিয়ে দেবেন আর প্রকৃত ওবিসিরা বঞ্চিত হবেন এটা হতে পারে না। সকাল বিকাল খালি বহিরাগত, বহিরাগত বলছেন। বাংলাদেশের লোকজন আপনজন আর গুজরাটের লোক বহিরাগত? প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বহিরাগত? অন্য রাজ্যে যারা কাজ করছেন তাদের ফেরত এনে ভোটের ব্যবস্থা করুন। করোনার সময় আসতে দেয়নি। ওনার ভাইপো যদি গুজরাটে কাজ করত তবে আটকাতে পারত? এখন প্রতিশোধ নেওয়ার সময় এসেছে। যদি উঠে দাঁড়িয়ে খেলা দেখানো চেষ্টা করে, তবে এমন অবস্থা হবে ২৯ তারিখের পরে খেলা তো দূরের কথা সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতের স্টাইলে ভোট হবে না’।
শীতলকুচিকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,'২০১০ সালের কলকাতায় পুরসভা ভোট। পাটুলিতে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট বাপী ধর ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলের গুলিতে ভোটের দিন মারা গিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বলেছিলেন নটোরিয়াস ক্রিমিনাল। রিগিং করতে গিয়ে গুলিতে মারা গিয়েছে। একজন বুদ্ধিজীবী তখন সিপিএমের সঙ্গে ঘুরতেন, বাপী ধরের স্মরণসভায় গিয়ে বলেছিলেন এমন শিক্ষিত, সংবেদনশীল যুবক আমি দেখিনি। তিনি এখন পরিবর্তনের জমানাতে তৃণমূল হয়ে গিয়েছেন। দিনে ৫০০ টাকা, হাজার টাকা পান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনাতেও কয়েকজনকে দেখছিলাম। এরা তো ৫০০ টাকায়, হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এরা এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে'। তবে সায়ন্তন বসুর বক্তব্য প্রসঙ্গে মালদার তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, সায়ন্তন বসু উসকানিমূলক, কুরুচিপূর্ণ কথা বলছেন। তাকে গ্রেফতার করা উচিৎ।