রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে দেশের কোভিড পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিরাগতদের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে কোভিড কার্যত অভিযোগ মমতার। বহরমপুর অডিটোরিয়াম থেকে এদিন মমতার নিশানায় একদিকে ছিল বিজেপি, অন্যদিকে কমিশন। পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণভাবে পুলিশকে নিশানা করেও এদিন তোপ দাগেন তিনি। মমতা এদিন বলেন, ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বাংলা দখল করতে গিয়ে একটা সর্বনাশা পথে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর মন কা বাত কেউ শুনবে না, কোভিডের বাত বলুন। বাংলায় অক্সিজেন সাপ্লাইকারীদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে।'
মমতা আরও বলেন, 'হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট আমার কাছে এসেছে। কমিশন সিপিএফ পাঠিয়ে বিজেপিতে মদত দিচ্ছে। ক্রিমিনালদের পাহারা দেওয়ার জন্য সেন্ট্রাল ফোর্স দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পুলিশ বেচারা ইলেকশন এলেই ভয়ে চুপচাপ থাকে। যেন ঘুঘুর বাসায় পড়েছে। নিজেদের যে ব্রেনটা ইউজ করতে পারে না। তারা ভাবে ইলেকশন কমিশন যেটা একদিনের জন্য বলছে সেটা শুনতে বাধ্য। কিন্তু বাকি যে ৫ বছর আছে সেটা জানে না। তিনি বলেন, প্রত্যেকে বেরবেন, ইলেকশনে ভোট করাবেন। তৃণমূলই পাওয়ারে থাকবে। কেস করলে আমরা দেখে নেব। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যেভাবে পক্ষপাতমূলক ভোট হয়েছে তাতে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব। ইলেকশন কমিশন বিজেপির আয়না', তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী।
পাশাপাশি তাঁর দাবি, 'ভ্যাকসিন ৮০টা দেশে পাঠিয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় টাকার হোসপাইপ চলছে। কমিশন দেখতে পায় না। ২ লক্ষ পুলিশ রেখে দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান থেকে এসেছে। কে কোভিড ওরাও জানে না। প্রচুর বিজেপি কর্মীও বাইরে থেকে এসেছে। কোভিডের সময় বাইরে থেকে ৪-৫ লাখ বাংলায় পড়ে থাকলে দায়ী কে? ওরা পরিকল্পনা করেছে যাতে বাংলা কোভিডে পড়ে আর ওরা ড্যাং ড্যার করে বেরিয়ে যায়। সেন্ট্রাল ফোর্সের লোকজন বাড়িতে গেলে বলবেন দূর থেকে কথা বল। মা বোনেরা বলবেন। আউটসাইডার অ্যালাও নয়।'