রাজ্য রাজনীতিতে চাণক্য বলেই পরিচিত মুকুল রায়। দীর্ঘদিন পরে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ও হাসিল করেছেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও অভিজ্ঞতাকে কেউ প্রকাশ্যে আবার কেউ আড়ালে থেকেও তারিফ করতে বাধ্য হন। অন্যদিকে এবারের ভোটযুদ্ধে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয় হাসিল করেছেন যিনি সেই শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্বও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিজেপির কাছে কম কিছু নয়। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে এবার বিরোধী দলনেতা কে হবেন?
বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবারই এব্যাপারে ঘোষণা হতে পারে। বিরোধী দলনেতা বাছার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভুপেন্দ্র যাদবকে এব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শনিবার দিল্লিতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে এনিয়ে একপ্রস্থ বৈঠকও হয়েছে। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও ছিলেন। তবে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষেই মতামত দিয়েছেন সিংহভাগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির একাংশও এব্যাপারে একমত রয়েছেন। কিন্তু মুকুল রায় কি তবে এই দৌড়ে নেই?
দলের একাংশের মতে, মুকুল রায় সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্বে আছেন। সাংগঠনিক নানা দায়িত্ব তাঁর উপর। তাছাড়া মুকুল রায় নাকি নিজেই তাঁর অনিচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তবে মুকুল ঘনিষ্ঠ এক নেতার দাবি, আসলে স্বেচ্ছাতেই পিছিয়ে রয়েছেন মুকুল রায়।মোদ্দা কথা তিনি নিজেই বসতে চান না ওই চেয়ারে। তবুও স্বস্তি একটাই মুকুলের বিজেপি ত্যাগের জল্পনায় জল ঢেলেছেন তিনি নিজেই। অন্যদিকে সংঘ-ঘনিষ্ঠ কাউকে বিরোধী দলনেতা করার ব্য়াপারেও কথাবার্তা হয়েছিল। কিন্তু তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি এখনও।