শুক্রবার নির্বাচন কোচবিহারে। কার্যত অশান্তির প্রহর গুনছে কোচবিহার। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভয়াবহ সন্ত্রাস এখনও অনেকের মনে রয়েছে।সেই অশান্তিরই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাসিন্দারা।অনেকেরই মতে, এবারের ভোটে বড় গণ্ডগোলের আশঙ্কা কোচবিহারে। গত কয়েকদিনের একাধিক ঘটনা তেমনি ইঙ্গিত দিচ্ছে। শীতলকুচি, মাথাভাঙা, দিনহাটা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ সহ বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় গণ্ডগোলের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস চলেছিল। ভোটের দিনও কার্যত গোটা জেলা জুড়ে শাসকদলের দাপট দেখেছিলেন সাধারণ মানুষ।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা জুড়ে বিজেপির সংগঠন সেভাবে মজবুত ছিলনা। এবার গোটা জেলা জুড়ে তৃণমূলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলার শক্তি অর্জন করেছে বিজেপি।সেক্ষেত্রে কোথাও আক্রমণ হলেই দ্রুত তার প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বিজেপি।মঙ্গলবার শীতলকুচিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মাথাভাঙায় তৃণমূল প্রার্থী গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।তারই প্রতিবাদে রাতভর মাথাভাঙা মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে ধরনায় বসেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। বাসিন্দাদের একাংশের মতে নির্বাচনের দিন এই গণ্ডগোল ভয়াবহ আকার নিতে পারে।
তবে পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা ইতিমধ্যেই এনিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ।নাকা চেকিংও চলছে পুরোদমে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। প্রতিবেশী রাজ্য অসম থেকে কোনও দুষ্কৃতী যাতে তুফানগঞ্জ, বক্সিরহাট এলাকায় ডেরা বাঁধতে না পারে সেজন্য বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। শান্তি রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলগুলিও আবেদন করা শুরু করেছে। ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা তথা দিনহাটার বাম জোটের প্রার্থী আব্দুর রউফ বলেন, জেলা জুড়ে ভোটের দিন ভয়াবহ অশান্তির আশঙ্কা করছি আমরা। সকলে যাতে শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করার জন্য সকলের কাছে আমরা আবেদন করছি।