প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ধর্মে বিভেদ ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। বুধবার দু’জনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং বিভিন্ন বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার অভিযোগে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দফতরে যায়।
তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। সেখানে বেশ কয়েকটি বিষয়ে কমিশনকে জানিয়েছি। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল, ১২ এপ্রিল কল্যাণীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে রাজবংশী, মতুয়া ও নমঃশূদ্রদের মধ্যে বিভেদ ঘটানোর চেষ্টা করেছেন।’
কল্যাণ আরও বলেন, ‘ মোদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানিয়েছিলেন যে, তিনি মতুয়া ও নমঃশূদ্রদের জন্য কিছুই করেননি। মোদীর এই বক্তব্যেই স্পষ্ট যে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। কারণ তাঁর এই মন্তব্য পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি করার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টিতৈরি করছে।’
কল্যাণ আরও বলেন, ‘ ১০ এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে মমতাকে গুণ্ডা বলা ছাড়াও তাঁর অনুগামীদেরও ঠগ বলেছিলেন। সেক্ষেত্রেও নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে।’ পরে কল্যাণ অভিযোগ তোলেন, ১১ এপ্রিলে তাঁর ভাষণে অমিত শাহ রাজবংশী ও অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ঘটানোর চেষ্টা করেছেন। সেক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী ও শাহের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’